ঢাকা: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর গুলিস্তানে বেধড়ক পিটুনি ও গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত রমজান মিয়া জীবন (২৬) দুই মাসেরও বেশি সময় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হেরে গেছেন।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জীবনের মামা মো. রোকন জানান, তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার পাঠানবাড়ি গ্রামে। জীবন ঢাকায় মিরপুর ১১ নম্বর সেকশন এলাকায় স্ত্রী সাহারা খাতুনকে নিয়ে থাকতেন। তার স্ত্রী ছয়মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। আলু বাজার জুতার কারখানায় কাজ করতেন জীবন।
তিনি আরও জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট ঢাকার গুলিস্তান এলাকায় মিছিলে যান জীবন। সেখানে লাঠির আঘাত ও গুলিতে আহত হন জীবন। পথচারীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিকেলে সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় দেখতে পাই জীবনকে। সেদিনই তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসার পর আজ বিকেলে মারা যায়।
তার স্বজন ও মিরপুর এলাকার বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, জীবন মিরপুর পল্লবী এলাকার ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে কোনো পদে ছিলেন না। ছাত্র-জনতার পক্ষে গুলিস্তান এলাকায় আন্দোলনে গেলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও গুলি করা হয়।
হাসপাতাল থেকে জানা গেছে, জীবনের মৃত্যুসনদে কারণ হিসেবে ‘শারীরিক ও গুলির আঘাত’ উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, জীবনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৪
এজেডএস/জেএইচ