ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩১, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৭২ মাঝি-মাল্লাসহ বাংলাদেশি ৫ ট্রলার ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমার নৌবাহিনী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৪
৭২ মাঝি-মাল্লাসহ বাংলাদেশি ৫ ট্রলার ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমার নৌবাহিনী ফাইল ফটো

কক্সবাজার: বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে মাছ ধরার সময় ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি ৫টি ফিশিং ট্রলার ও ৭২ জন মাঝি-মাল্লাকে ২৪ ঘণ্টা পর ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমার নৌবাহিনী।

বৃহস্পতিবার ( ১০ অক্টোবর) বিকেলে ৪টার দিকে ট্রলারগুলো সেন্টমার্টিন ঘাটে পৌঁছে।

ট্রলার মালিক সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পাঁচটি ট্রলারের মধ্যে শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রিপাড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিউর রহমানের ২টি, মৃত আলী হোছনের ছেলে আবদুল্লাহর একটি, তার ভাই আতা উল্লাহর একটি ও উত্তরপাড়ার ছৈয়দ মাঝির ছেলে মো. আছেমের একটি।

গত বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে বঙ্গোপসাগরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মাছ ধরার নৌকায় বাংলাদেশি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি করে মিয়ানমার নৌ বাহিনী। একই সময়  জেলেসহ ৬টি মাছ ধরার ট্রলার ধরে নিয়ে যায়।  

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক জেলের মৃত্যু এবং আরও দুই জেলে আহত হন। ঘটনার একদিন পর বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মো. ওসমান গনি ও আহত অপর দুই জেলে এবং ১১ জন মাঝিমাল্লাসহ একটি ট্রলার শাহপরীর দ্বীপ ঘাটে পৌঁছায়।

গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত জেলে মো. ওসমান গনি শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচু মিয়ার ছেলে। তিনি শাহপরীর দ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকাধীন ট্রলারের জেলে।

ট্রলার মালিক মতিউর রহমান জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে নিহত জেলেসহ সাইফুলের মালিকাধীন ট্রলারটি শাহপরীরদ্বীপ জেটিতে আসে। এরপর বিকেল ৪টার দিকে অপর ৫টি ট্রলার জেলেরাসহ সেন্টমার্টিন ঘাটে পৌঁছে।

তিনি বলেন, ট্রলারের জেলেদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। বর্তমানে এসব জেলেদের কাছ থেকে  কোস্টগার্ড ও  নৌ বাহিনী তথ্য সংগ্রহ করছে। এর পরে সেন্টমার্টিন থেকে  ট্রলারগুলো শাহপরীরদ্বীপ ঘাটে নিয়ে আসা হবে।

ট্রলার মালিক সাইফুল জানান, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে তার ট্রলারে গুলি বর্ষণ করে। এতে ট্রলারে থাকা তিনজন গুলিবিদ্ধ হলে তাদের একজনের মৃত্যু হয়।

টেকনাফে দায়িত্বরত নৌ পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল কাসেম জানান, জেলের মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে কোস্টগার্ড। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৪
এসবি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।