ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দোকানে দোকানে গিয়ে খাদ্যের মান পরীক্ষা করবে ‘ভ্রাম্যমাণ ল্যাব’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
দোকানে দোকানে গিয়ে খাদ্যের মান পরীক্ষা করবে ‘ভ্রাম্যমাণ ল্যাব’

রাজশাহী: রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলায় দোকানে দোকানে গিয়ে খাদ্যের মান পরীক্ষা করবে ‘ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের গাড়ি’। জেলা জেলা ঘুরে বেড়াবে এবং খাদ্যপণ্য পরীক্ষা করবে।

পরীক্ষায় ভেজাল কিংবা মানহীন খাদ্যপণ্য পেলে তাৎক্ষণিকভাবেই সেগুলো ধ্বংস করা হবে। সচেতনতা বাড়াতে ভোক্তাদের কাউন্সিলিং করা হবে। ভোক্তা চাইলে তিনিও বাজার থেকে নমুনা নিয়ে বিনামূল্যে তা পরীক্ষা করাতে পারবেন এই ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারে।

নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগারের এই বিশেষ গাড়িটি খুবই অত্যাধুনিক। এ গাড়িতেই রয়েছে ল্যাব। যেখানে তাৎক্ষণিক খাদ্যপণ্য ও খাদ্যদ্রব্য পরীক্ষা করে ফলাফল পাওয়া যাবে। বাজারে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এই ভ্রাম্যমাণ ল্যাবটি যাবে দোকানে দোকানে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের অধীনে এই ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারটি দেওয়া হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা এই পরীক্ষাগারের দায়িত্বে থাকবেন। রাজশাহী বিভাগের কোন জেলায় কোন দিন এই ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারটি যাবে বা থাকবে, তার একটি সময়সূচি মাসের শুরুতেই তৈরি করে দেওয়া হবে।

তবে রাজশাহী ছাড়া বিভাগের কোনো জেলায় পরীক্ষাগারটি একবার গিয়ে দুই দিনের বেশি থাকবে না। দিনে প্রয়োজনীয় স্থানে পরীক্ষাগারটিকে নিয়ে যাওয়া হবে। রাতে পরীক্ষাগারটি রাখা হবে সার্কিট হাউসে।

রাজশাহী জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা ইয়ামিন হোসেন জানিয়েছেন, যেসব এলাকায় বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিক্রি হয় সেখানে গাড়িতে থাকা এই পরীক্ষাগার নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর খাদ্যপণ্য পরীক্ষা করে তাৎক্ষণিক ফলাফল জানানো হবে। কোথাও খাদ্যপণ্যে ভেজাল পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা ধ্বংস করা হবে। তারপর এই খাদ্যপণ্য কেনা থেকে বিরত থাকতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হবে। যেন তারা স্থানীয়ভাবে আর এসব খাদ্যপণ্য গ্রহণ না করেন। আর এর ফলে তারা নানান ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকবেন।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বাড়াতে প্রকল্পটি চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। এই সময় পর্যন্ত সাধারণ ভোক্তারাও খাদ্যপণ্যর নমুনা এনে বিনামূল্যেই পরীক্ষা করাতে পারবেন। তবে প্রকল্পের মেয়াদ শেষে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে এ সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।

এদিকে বুধবার (১৬ অক্টোবর) এই ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগারের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

এই উপলক্ষে বুধবার রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করানগয়।  

বিভাগীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রাজশাহী বিভাগের আট জেলাতে এই ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগারের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে। মূলত একটি গাড়ির ওপর জনস্বার্থে এই পরীক্ষাগারটি অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন করে তৈরি করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ফয়সাল মাহমুদ, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মাহমুদুল ফারুক, বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াহেদ মণ্ডল এবং নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা ইয়ামিন হোসেনসহ আরও অনেকেই বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।