ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গাংনীতে ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে মিলল বোমা-কাফনের কাপড়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২৪
গাংনীতে ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে মিলল বোমা-কাফনের কাপড়

মেহেরপুর: জেলার গাংনীতে ব্যবসায়ী সুমন আলীর বাড়ির সামনে থেকে হাতবোমা, কাফনের কাপড়, সাবান ও আগরবাতি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কড়ইগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে গত এক মাসে গাংনী উপজেলার পৃথক তিনটি স্থানে হাতবোমা, কাফনের কাপড় ও চিরকুট পাওয়া গেল।

গাংনী উপজেলার এলাঙ্গী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বাড়ির মালিকের ফোন কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাল কসটেপ মোড়ানো দুটি হাতবোমা, এক টুকরো কাফনের কাপড়, দুটি শাবান ও আগরবাতি উদ্ধার করা হয়। সুমনের বাড়ির রান্না ঘরের চুলার পাশে এগুলো রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে বোমা দুটি উদ্ধার করে পানি ভর্তি বালতিতে রাখা হয়েছে।

গৃহকর্তা সুমন আলী জানান, সকালের আমার স্ত্রী রান্না করতে গিয়ে এগুলো দেখে জোরে চিৎকার দিয়ে ওঠে। পরে এলাঙ্গী পুলিশ ক্যাম্পে খবর দিলে তারা এসে এগুলো উদ্ধার করেন। আমাকে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য বা কাউকে ফাঁসানোর জন্য হয়ত দুর্বৃত্তরা এ কাজ করেছে।

তিনি আরও জানান, কয়েকদিন আগে গ্রামের মামা সম্পর্কের ইকবার আলী, মিয়াজান আলী আমাকে গ্রাম থেকে পাঁচ থেকে ছয় মাসের জন্য চলে যেতে বলেন। এর আগে ৬ আগস্ট কড়ইগাছি বাজারে আমার জুতা ও কাপড়ের দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

স্থানীয়রা জানায়, এর আগে গত ৩০ আগস্ট রাত ১০টার দিকে গাংনী পৌর শহরের চৌগাছা গ্রামের ওষুধ ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম মিঠুর বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে থেকে একটি হাত বোমা, কাফনের কাপড় ও হত্যা সংবলিত হুমকির চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছিল। তার তিনদিন আগে ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে তার বাড়িতে বোমা হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় বর্তমানে ওষুধ ব্যবসায়ী মিঠু ও তার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে দুষ্কৃতিকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান স্থানীয়রা।

এছাড়া গত ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে গাংনী উপজেলার গোপালগর বাজারে রাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে দুইটি হাতবোমা, চিরকুট ও একটু টুকরো কাফনের কাপড় উদ্ধার করে পুলিশ। এসব বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এখনও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।

এদিকে একের পর এক বোমা, কাফনের কাপড় ও চিরকুট উদ্ধারের ঘটনায় জনমতে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান স্থানীয়রা।

গাংনী থানার তদন্ত অফিসার মেজবাহ উদ্দীন বলেন, লাল কসটেপ মোড়ানো দুটি হাত বোমা, এক টুকরো কাফনের কাপড়, দুইটি সাবান, আগরবাতি উদ্ধার করা হয়েছে। কাউকে ফাঁসানোর জন্য হয়ত এগুলো রেখে গেছে। পুলিশ তদন্ত করছে, এ ঘটনায় মামলা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।