ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে

ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পর যা বললেন সাংবাদিক প্রিয়র মা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:১১, অক্টোবর ২২, ২০২৪
ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পর যা বললেন সাংবাদিক প্রিয়র মা

ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ১৯ জুলাই বিকেল ৫টা থেকে ৫টা ১০- এর মধ্যে ল্যাবএইড হাসপাতালের পেছনের মোডড়ে মাথার পিছনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে অভিযোগ দিতে এসে আন্দোলনে শহীদ হওয়া সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়র মা শামসি আরা জামান গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, সে সময় সেখানে থাকা ৩০-৪০ জন এপিবিএন পুলিশ সদস্যের মধ্য থেকে প্রিয়র ওপর গুলি চালানো হয়। এর মধ্যে যে এপিবিএন সদস্যের গুলিতে প্রিয় নিহত হয়, তাকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি আমরা।  

আন্দোলনে শহীদ হওয়া সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়র মা শামসি আরা জামান বলেন, আমার ছেলে ১৯ জুলাই বিকেল ৫টা থেকে ৫টা ১০ এর মধ্যে ল্যাবএইড হসপিটালের পেছনের মোডড়ে গুলিবিদ্ধ হয়। আমার ছেলেকে পেছন থেকে গুলি করা হয়েছে। আমাদের কাছে এ ঘটনার পুরো সিসি ক্যামেরার ভিডিও আছে। যারা মেরেছে তারা হচ্ছে এপিবিএন পুলিশ সদস্য। ৩০ থেকে ৪০ জনের মতন একটা দল সেখানে ছিল।  

তিনি বলেন, আমি রংপুর থেকে এসেছি। এর আগে আমি নিউ মার্কেট থানায় মামলা করেছিলাম। আমি যেহেতু রংপুরে থাকি, আমি কোনো খোঁজখবর পাচ্ছিলাম না। তবে শহীদ সৈকতের বোনের সঙ্গে আমার সব সময় যোগাযোগ। তার কাছে জানতে পারলাম সে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে। সেজন্য আমিও ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে এসেছি। গেল রবিবার এসে আমি সব খোঁজ খবর নিয়েছি। যেহেতু সব মামলা এখানে এসে বিচার কার্যক্রম হবে তাই আমি এখানে এসেছি মামলা করতে।  

প্রিয়র মা বলেন, আমি আজকে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আরো কিছু নাম বাকি আছে, যে নামগুলো আমি পরবর্তীতে পাঠিয়ে দেব।  

এই মামলায় কাদের নাম আছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে যারা ওপর থেকে হুকুম দিয়েছেন তাদের নাম এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নামও আছে। আর থানার উচ্চ যে কর্মকর্তা আছে তাদের বিরুদ্ধেও আমি অবশ্যই মামলা দায়ের করব। কারণ তাদের কারো হুকুম ছাড়া তো আমার ছেলেকে কেউ গুলি করেনি।  

প্রিয়র মা বলেন, আমার ছেলে অনলাইন পত্রিকা দ্য রিপোর্টে সাংবাদিকতা করত। পাঠশালা এবং সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সে সিনেমা ফটোগ্রাফি নিয়ে পড়াশোনা করছিল।

এর আগে দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কক্ষে বসে প্রিয়র মা শামসি আরা জামান, নারী সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা, প্রিয়র মামলার সকল বিষয়ে সহায়তাকারী আমিরুল রাজীবসহ বেশ কয়েকজন প্রিয়র মামলা নিয়ে আলোচনা করেন এবং ঘটনার বিভিন্ন অ্যাভিডেন্স ও সংশ্লিষ্ট ভিডিও ফুটেজ চিফ প্রসিকিউটারের কাছে উপস্থাপন করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২৪ 
ইএসএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।