ঢাকা: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ ও শাস্তির দাবিতে বঙ্গভবনের সামনের রাস্তা আটকে কতিপয় যুবক ও কিশোরকে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে দুই তিনজন নারীও রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বঙ্গভবনের সামনের রাস্তা বন্ধ করে দেন ওই বিক্ষোভকারীরা।
সরজমিনে দেখা যায়, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ‘বিপ্লবী ছাত্র জনতা’র ব্যানারে তিনজন নারীসহ ৭-৮ জন যুবক বঙ্গভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তারা হ্যান্ড মাইকে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় তাদের ‘নৌকা ডুবছে নদীতে, চুপ্পু কেন গদিতে’, ‘হাসিনা গেছে যেই পথে, চুপ্পু যাবে সেই পথে’ স্লোগান দিতে শোনা যায়।
বিপ্লবী ছাত্র-জনতার সদস্য সচিব পরিচয় দেওয়া আল আমিন আটিয়া বলেন, ‘চুপ্পুকে পদত্যাগ করতে হবে। তার বিচার করতে হবে। কারণ তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন এবং ছাত্র-জনতা হত্যার ঘটনায় চুপ থেকেছেন। তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। ছাত্র হত্যার দায়ে তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ’
পরে বিকেল ৫টার দিকে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু সংখ্যায় কম হওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি। এর ১৫ মিনিট পর ১৫-২০ জন যুবক, বৃদ্ধ, কিশোর সেখানে আসেন। তাদের সহযোগিতায় এক পর্যায়ে ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করতে সক্ষম হন তারা। তবে ১০ মিনিট পরেই আবার রাস্তা ছেড়ে দেন। আবার পাঁচ মিনিট যান চলাচলের পর তারা রাস্তা বন্ধ করে দেন। এভাবে বেশ কয়েকবার রাস্ত বন্ধ ও খোলার পর সবশেষ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে রাস্তা ছেড়ে দেন।
এ সময় আল আমিন আটিয়া বলেন, আমরা আজকের জন্য আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করছি। আমরা আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে জড়ো হব। পরে জুমার নামাজ শেষে বঙ্গভবন অভিমুখে যাত্রা করব। আমরা সব রাজনৈতিক দল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সবাইকে আমাদের সঙ্গে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে ‘বিপ্লবী ছাত্র জনতা’র সঙ্গে রাস্তা অবরোধ করা কিশোর-যুবক কারা, এ নিয়ে সেখানে উপস্থিত অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা দেয়। প্রত্যক্ষদর্শী কেউ কেউ বলেন, ‘রাস্তা আটকানোদের পোশাক ও কথাবার্তা শুনে এদের টোকাই বলেই মনে হয়েছে! এমনকি অনেকের বয়স ১২-১৪ বছরের বেশিও নয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
এসসি/এমজেএফ