ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চার বছরেও পুনঃস্থাপিত হয়নি বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের নামফলক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৪
চার বছরেও পুনঃস্থাপিত হয়নি বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের নামফলক

মৌলভীবাজার: আজকের দিনে শাহাদাতবরণ করেছিলেন ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ সিপাহী হামিদুর রহমান। ১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ধলইয়ে সম্মুখযুদ্ধে অসম সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করে শহীদ হন তিনি।

অকুতোভয় এই যোদ্ধার আজ ৫৩তম শাহাদাতবার্ষিকী।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে জানা যায়, ২৮ অক্টোবর ভোরে লেফটেন্যান্ট আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী এবং লেফটেন্যান্ট নুরের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর ১২৫ জনের একটি দল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দুর্ভেদ্য ধলই ঘাঁটির ওপর প্রচণ্ড আক্রমণ চালায়। এসময় প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ৩০-এ ফ্রন্টিয়ার রেজিমেন্টের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে মুক্তিবাহিনী পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর মেশিনগান পোস্টে গ্রেনেড হামলার সিদ্ধান্ত নেয়। গ্রেনেড ছোড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় সিপাহী হামিদুর রহমানকে। তিনি পাহাড়ি খালের মধ্য দিয়ে বুকে হেঁটে গ্রেনেড নিয়ে আক্রমণ শুরু করেন।

দুটি গ্রেনেড সফলভাবে মেশিনগান পোস্টে আঘাত হানে। কিন্তু তার পরপরই হামিদুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মুক্তিযোদ্ধারা সেদিন হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে সীমানা ফাঁড়িটি দখল করতে সমর্থ হন। এই যুদ্ধে হাওলাদার মকবুল হোসেন ও সিপাহি আব্দুর রহমান অসামান্য বীরত্ব প্রদর্শন করেন।

মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকার জন্য তিনি সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত হন। তাঁর স্মরণে ১৯৯২ সালে ধলই চা বাগানে নির্মিত হয় স্মৃতিসৌধ।

তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের উদ্যোগে কমলগঞ্জ পৌরসভার ভানুগাছ চৌমুহনা থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত রাস্তার নামকরণ করা হয় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান সড়ক।  

ভানুগাছ চৌমুহনায় বসানো হয় নামফলক। তাঁর নামফলক ভেঙে স্থানীয় এমপি আব্দুস শহীদের নাম সম্বলিত কমলগঞ্জ এলজিইডি রাস্তার উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনী ফলক বসানো হয়। পরে এই বীরশ্রেষ্ঠ'র নামফলকটি আর স্থাপন হয়নি। মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের পর নতুন ফলক স্থাপন করে পরিবর্তন করা হয়েছে সড়কের নাম।  

সূত্র জানায়, এখানে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের নামফলক স্থাপিত হয় ১৯৯২ সালে। ভানুগাছ বাজার পয়েন্ট থেকে ধলই চা বাগান পর্যন্ত সড়কের নামকরণ করা হয়েছিল ‘বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান সড়ক’।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তার উন্নয়ন ও মেরামতের সময় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের নামের ফলকটি খুলে ফেলা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আমি এলজিইডির কর্মকর্তা সঙ্গে কথা বলে নামের ফলকটি পুনঃস্থাপনের ব্যবস্থা নেব।

সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৪
বিবিবি/আরএ                                  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।