ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পল্লবীতে মাদক কারবারিদের গুলিতে গৃহবধূ নিহত, ১৭ জনকে আসামি করে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
পল্লবীতে মাদক কারবারিদের গুলিতে গৃহবধূ নিহত, ১৭ জনকে আসামি করে মামলা

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুর বাউনিয়া বাঁধ এলাকায় চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাদক কারবারি দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে আয়েশা আক্তার (২৬) নামে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে পল্লবী থানায়।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে নিহতের স্বামী মিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

পল্লবী থানার (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় বুধবার রাতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মামলার ১১ নম্বর আসামি আল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

মামলার আসামিরা হলেন, মমিন (৩৫), শাবু (২৮), সম্রাট (২৩), শামিম (৪৫), জয়নাল (৩২), পাতা সোহেল, কালা মোতালেব(৪০), ভাগ্নে মামুন (৩৮), জাহাঙ্গীর (৩৩), ভেজাল মামুন (৪২), আল-ইসলাম (৪৫), ইউনুস ওরফে ডিস্কু (৪০), রুবেল (৩৮), মজনু (৫০), কালন (৩৫), কামাল (৩৫) ও জয় (২৭)।

পুলিশ সূত্রে জানায়, বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পল্লবী থানাধীন মিরপুর সেকশন- ১১ এর বাউনিয়াবাঁধ বি ব্লকে চিহ্নিত অস্ত্রধারী মাদক কারবারি সন্ত্রাসী মমিন, শাবু, সম্রাট, শামিম, জয়নাল, ইদ্রিস, কালা মোতালেব, কামাল, জাহাঙ্গীর, আল ইসলাম, ভেজাল মামুন, জয়, ইউনুস, রুবেলসহ অজ্ঞাত নামা ১৪-১৫ জন এলাকার শীর্ষ মাদক কারবারি ফতের ভাই মামুনের কাছে চাঁদা চায়।

এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও তর্কের মধ্যে আধিপত্য প্রদর্শনী পরিণত হয় গোলাগুলিতে। তাতে বাউনিয়াবাঁধ বি ব্লকের ১৭/১৮ বাসার দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি করিডোরে দাঁড়ানো আয়েশা আক্তার গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহত ভুক্তভোগী মৃত আয়েশার (৩০) স্বামী মিরাজুল পেশায় বাস চালক। তৃতীয় তলায় ১টি রুম নিয়ে ১০ বৎসর ধরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন তারা।  

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ও দায়ের করা মামলার আসামিরা ১ নম্বর আসামি মমিন চাচাতো ভাই এবং রুবেল বোন জামাই। গ্রেপ্তার ১১ নম্বর আসামি আল ইসলাম ও ৯ নম্বর আসামি জাহাঙ্গীর নেপথ্যে থেকে দখল ও মাদক কারবারের আধিপত্যের লড়াই জিইয়ে রেখে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।

এ বিষয়ে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মাকছেদুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার আল ইসলামের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা রয়েছে। গুলিতে নারী মৃত্যুর ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। আল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অন্যান্য জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এর আগে, বুধবার (৩১ ঘণ্টা) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর পল্লবী থানার বাউনিয়াবাদ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে গৃহবধূ আয়শা নিহত হয়। ওই গোলাগুলির ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকেই নেতৃত্ব দেন আল ইসলাম৷

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
এমএমআই/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।