ঢাকা: জমা নেওয়া বৈধ অস্ত্র ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে জেলা পর্যায়ে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ইস্যুকৃত এসব অস্ত্র জমা নিয়েছিল সরকার। তবে যেসব অস্ত্র ফেরত দিলে আইনশৃঙ্খলা অবস্থার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে তাদের অস্ত্র ফেরত দেওয়া হবে না।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ইসরাত জাহান স্বাক্ষরিক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের ২৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখের প্রজ্ঞাপনে বিগত ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য গৃহীত এবং ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে থানায় জমাকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ফেরত দেওয়ার আবেদন যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিতে জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হলো।
এ কমিটিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এ ছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছে জেলা পুলিশ সুপার ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই)-এর উপপরিচালক।
কমিটির কার্যপরিধি
কমিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের ২৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখের প্রজ্ঞাপনমূলে জমাদানকৃত বৈধ অস্ত্র লাইসেন্সধারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই শেষে ফেরত দেবে। বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে ইস্যুকৃত এবং যেসব অস্ত্র ফেরত দিলে তা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেসব অস্ত্র ফেরত দেওয়ার বিষয় বিবেচিত হবে না।
যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে মামলা চলমান আছে বা যারা ফৌজদারি অপরাধে ইতোমধ্যে দণ্ডিত হয়েছে, তাদের অস্ত্র ফেরত দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করা যাবে না। কমিটি প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত নির্ধারিত তারিখের পরে জমাকৃত অস্ত্রের বিষয়ে যৌক্তিকতা পর্যালোচনা করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
জিসিজি/এমজেএফ