ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় দুই ভাই ও বোনের পর চিকিৎসাধীন বাবা বাবুল মিয়া (৪০) জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়ায়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ভোর পৌনে ৫টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মারা যান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাসলিমা (৯), ভোর পৌনে ৬টার দিকে ইসমাইল (১১) ও সকাল ৯টার দিকে সোহেল মিয়া (২০) চিকিৎসাধীন মারা যান।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রূপগঞ্জ থেকে আসা দগ্ধ একই পরিবারের ছয়জনের মধ্যে বাবুল মিয়া নামে আরও একজন মারা গেছেন। তার শরীরের ৬৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
বর্তমানে সেলি বেগম ৩০ শতাংশ ও সোহেলের স্ত্রী মুন্নি ২০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন। তবে তাদের দুজনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর আগে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত পৌনে ১১টার দিকে রূপগঞ্জ ডহরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন মো. বাবুল মিয়া (৪০) ও তার স্ত্রী সেলি বেগম (৩৫) ছেলে মো. সোহেল মিয়া (২০), মো. ইসমাইল হোসেন (১১) মেয়ে তাসলিমা আক্তার (৯) ও সোহেলের স্ত্রী মুন্নি খাতুন (১৮)।
দগ্ধ বাবুলের চাচাতো ভাই এনামুল হক বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার সুজাপুর গ্রামে। বর্তমানে নারায়নগঞ্জ রূপগঞ্জ থানার ডহরগাঁও এলাকার ওই বাসায় নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। বাবুল রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। তার স্ত্রী সেলি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। সোহেল ফকির ফ্যাশন নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সোহেলের স্ত্রী মুন্নি গৃহিণী। এছাড়া ইসমাইল ও তাসলিমা বাসাতেই থাকতেন।
তিনি বলেন, তারা ওই বাসার পাশাপাশি রুমে ছিলেন। তাদের ঘরে লাইনের গ্যাস থাকলেও চাচা বাবুলের ঘরে গ্যাস টেনে আনার জন্য একটি কম্প্রেসার মেশিন ছিল। ওই দিন রাতে তারা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ কম্প্রেসার মেশিন বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তারা ছয়জন দগ্ধ হন। পরে প্রতিবেশীরা তাদের দ্রুত উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। তবে কি কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি এনামুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
এজেডএস/আরআইএস