চাঁদপুর: চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিরাপদ প্রজনন রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ১০ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স।
এর মধ্যে ছয় জেলেকে পাঁচদিন করে কারাদণ্ড ও চার জেলের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- মো. নাছির (৩৫), সাইফুল ইসলাম (২৩), সিহাব (২০), কবির হোসেন (৩৮), সাইফুল (২৮) ও রাসেল বেপারী (১৯)।
নিয়মিত মামলার আসামিরা হলেন- মো. লিটন (৩০), মনির হোসেন (২৩), মানিক (২৮) ও মো. জামাল (৪০)। এসব জেলেদের বাড়ি চাঁদপুর সদর ও মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (৩১) অক্টোবর সকাল ৮টা পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স। এ সময় গ্রেপ্তার ছয় জেলেকে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পাঁচদিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এআরএম জাহিদা হাসান।
তিনি আরও বলেন, অভিযানের সময় জেলেদের হেফাজতে থাকা ২২ হাজার মিটার কারেন্টজাল ও ৪০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করাসহ ইলিশগুলো এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
চাঁদপুর নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচএম ইকবাল বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত চাঁদপুর মেঘনা মোহনা থেকে মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় চার জেলেকে ইলিশ ধরার সময় হাতে নাতে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, অভিযানের শুরু থেকে আমরা জেলেদের ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য বুঝিয়েছি। এরপরও আইন অমান্য করে যেসব জেলে নদীতে নেমেছেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় আমরা কাউকে বিন্দু মাত্র ছাড় দেয়নি। পদ্মা-মেঘনায় ইলিশের নিরাপদ প্রজননকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
এসআরএস