ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সমবায়ে স্বার্থের সংঘাত কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়: উপদেষ্টা হাসান আরিফ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২৪
সমবায়ে স্বার্থের সংঘাত কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়: উপদেষ্টা হাসান আরিফ

ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, দুটি মানুষ এক সঙ্গে থাকলে মতবিরোধ থাকবে। প্রচলিত সমবায় আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকে সেই বিরোধ নিষ্পত্তি করা যায়।

নীতিগত কারণে যে বিরোধ দুটি পক্ষের মধ্যে থাকে তা আলাপ-আলোচনা বা আপসের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে। কিন্তু স্বার্থের সংঘাত সমবায়ে হবে, এটা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়।

তিনি বলেন, একতাই সমবায় আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি। কিন্তু সমবায় সমিতির সদস্য হওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় মামলা মোকদ্দমা আদালতে এসেছে। এসব মামলা উচ্চ আদালত এমনকি আপিল বিভাগেও গিয়েছে। সমবায়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে একত্রে কাজ করা। মামলা-মোকদ্দমা করে বিভাজন সৃষ্টি কাম্য নয়। একতাই সমবায় আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি, বিভাজন নয়।

শনিবার (০২ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে সমবায় অধিদপ্তরে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় সমবায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম।

উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, সমবায় সমিতিগুলোর মধ্যে বিদ্যমান মতপার্থক্য বা দ্বন্দ্বগুলো যখন আদালত পর্যন্ত গড়ায় তখনই সমবায় আন্দোলন ব্যর্থ হয়। সমবায় আন্দোলনকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। এ আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথের সব প্রতিবন্ধকতাকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দূর করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেন, ৫৩ বছরে আমরা যে সমাজ গড়েছি সে সমাজকে আমাদের সন্তানেরা ত্যাজ্য করেছে। আমরা এমন সমাজ গড়েছি যেখানে অন্যায় দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছিল। ৫ আগস্টের পূর্বে যা ঘটেছে আমরা সে জায়গায় আর ফিরে যেতে চাই না। এসব স্মৃতি পেছনে ফেলে আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে আমাদের সন্তানদের স্বপ্নকে ফিরিয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, একটি সমবায় আন্দোলনের কতটা শক্তিশালী হতে পারে তা জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান প্রমাণ করে দিয়েছে। এ বিপ্লব সব ধর্ম বর্ণের মানুষকে এক সুতোয় বেঁধে দিয়েছে। সমবায়কে কেন্দ্র করে বিশ্বের অনেক দেশে শতভাগ শিক্ষা বাস্তবায়ন এবং শতভাগ দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে। বাংলাদেশেও সমবায় সমিতিগুলোর মাধ্যমে এ প্রতিফলন ঘটাতে হবে। সমবায় কাঠামোকে সংস্কার করে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২৪
এসকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।