লক্ষ্মীপুর: নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর প্রথম দিনেই লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় ধরা পড়ছে ইলিশ। এতে নদী সংলগ্ন মাছঘাটগুলোতে জমজমাট ইলিশের বেচাকেনা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেল লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদী সংলগ্ন মজুচৌধুরীর হাট মাছঘাটে গিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়।
মা ইলিশ রক্ষার ২২ দিন পর নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে জেলেরা মাছ শিকারে নামে জেলেরা। জেলেদের জালে ধরা পড়া বেশিরভাগ ইলিশের পেটেই ডিম লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে ইলিশের পাশাপাশি জেলেদের জালে কোরাল, পাঙ্গাশ, আইড় ও চিংড়ি মাছও ধরা পড়ছে।
মজুচৌধুরীর হাটের মাছ ঘাটের জেলে এবং আড়ৎদাররা জানায়, গতরাত থেকে জেলেরা নদীতে মাছ শিকার শুরু করে। সকালে এবং বিকেলে মাছ নিয়ে ঘাটে আসে জেলেরা। ইলিশ বাজারে আসায় ক্রেতাদের মধ্যে আগ্রহ ও ভিড় দুটোই বেড়েছে। আর দাম আগের মতোই বেশি।
আড়তদার মো. শাহীন বলেন, দীর্ঘদিন পর জেলেরা নদীতে মাছ ধরতেক নামে। তবে জালে কিছু মাছ ধরা পড়লেও আশানুরূপ কম। সামনে শীত আসতেছে, এসময় নদীতে মাছের উপস্থিতি কম থাকে।
কামাল মাঝি বলেন, আজকে সকাল থেকে মাছ শিকারে নেমেছি। যেভাবে আশা করছি, তার থেকেও কম পেয়েছি। কয়েকদিনের মধ্যে মাছের পরিমাণ আরও কমে যাবে।
জেলে মো. সোহেল বলেন, আমরা সাধারণত কোরাল, পাঙ্গাশ, আইড় ও চিংড়ি মাছ শিকার করি। দীর্ঘদিন পর নদীতে নেমে কিছু মাছ পেয়েছি। তবে কয়েকদিনের মধ্যে মাছের পরিমাণ আরও কমে আসবে।
কমলনগরের মতিরহাট মাছ ঘাটের আড়তদার আবদুল খালেক বলেন, নদীতে মাছের পরিমাণ এখনও কম। আরও কমে যাবে। আর ধরা পড়া বেশিরভাগ ইলিশের পেটে এখনও ডিম রয়ে গেছে।
মজুচৌধুরীর মাছঘাটে পাইকারি দরে ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশের হালি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম ইলিশের হালি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, ৮০০ থেকে ৮৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশের হলি চার হাজার সাড়ে চার হাজার টাকা এবং এক কেজি ওজনের ইলিশের হালি ছয় হাজার টাকার ওপরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২৪
এসএম