সাভার: বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে মিটারের স্থানে চোর নিজের মোবাইলফোন নম্বর লিখে যান। সেই নম্বরে কল করলে রিসিভ করে কথাও বলতেন চোর।
এমন অভিনব চোরের সন্ধান মিলেছে ঢাকার আশুলিয়ায়। সম্প্রতি দুই সদস্য বিশিষ্ট এ চোরচক্রটি আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে ধামরাই-এর আইঙ্গন বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের আইঙ্গন এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে মো. আফজাল হোসেন (২৮) ও একই এলাকার মৃত হায়দার আলীর ছেলে জসিম (২২)। এদের মধ্যে জসিম পিকআপভ্যান চালক ও আফজাল একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ ফাঁড়ির ইনচার্জ অলক কুমার দে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মিটার চুরি সংক্রান্ত ঘটনায় তদন্ত শেষে ঢাকার ধামরাইয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ধামরাই-কালামপুর সড়কেন আইঙ্গন বাজার জামে মসজিদের সামনে থেকে জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই এলাকার ইউসুফ আলীর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তার ছেলে আফজালকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় আফজালের কাছ থেকে মিটার খোলার বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত এক মাস ধরে আশুলিয়া বিভিন্ন এলাকায় কলকারখানা ও ‘স’ মিলের মিটার চুরি হচ্ছিল। চুরি করে মিটারের স্থানে মোবাইলফোন নম্বর লিখে যায় চোরেরা। পরবর্তীতে সেই নম্বরে ফোন করে চোরের সাথে কথা বলে টাকার বিনিময়ে মিটার ফেরত নেন ভুক্তভোগীরা। এ ধরনের বেশ কয়েকটি অভিযোগ থানায় এলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চক্রের সদস্য মাত্র দুইজন। এক সদস্য ইলেক্ট্রিশিয়ান অপরজন পিকআপভ্যান চালক।
পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী, ইলেক্ট্রিশিয়ান আফজাল ও জসিম বিভিন্ন এলাকা ঘুরে চুরির জন্য মিটার নির্ধারণ করেন। পরে রাতে তারা মিটার চুরি করে মিটারের স্থানে কাগজে জসিমের ফোন নম্বর লিখে দিয়ে আসে। মিটার চুরি করে আফজাল ও পাহারাদার হিসেবে কাজ করে জসিম। মিশন শেষ করে তারা চলে গেলে পরদিন লিখে দিয়ে আসা নাম্বারে কল আসে মিটার মালিকের। ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা শুরু হয় জসিমের। ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ নম্বরে টাকা নিয়ে কৌশলে চুরি করা বৈদ্যুতিক মিটার ফেরত দেন জসিম। প্রায় প্রতিরাতেই তারা এই মিটার চুরি করতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২৪
এসএএইচ