কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার সরকারি শিশু পরিবার (বালক) থেকে রিজভী নামে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর শিশু শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে উপ-তত্ত্বাবধায়ক আসাদুজ্জামান ও সহকারী তত্ত্বাবধায়ক ইলিয়াস হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।
শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সহপাঠী রিজভীর সন্ধানের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন সেখানে অধ্যায়নরত আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তারা শারীরিক নির্যাতন ও খাবার কম দেওয়াসহ নানা অভিযোগ করে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কাছে।
এ সময় নিজ অফিসে উপস্থিত ছিলেন উপ-তত্ত্বাবধায়ক মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, গত ২ তারিখ রিজভী ও নাহিদ নামে দুই শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানের প্রধান গেট দিয়ে বের হয়ে যায়। এরপর তাদের সন্ধান না পেয়ে ৪ তারিখ কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।
সহকারী তত্ত্বাবধায়ক ইলিয়াসের বিরুদ্ধে শিশুদের ওপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। তিনি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে নাহিদকে মারধরের কথা তিনি স্বীকার করেছেন ইলিয়াস। তিনি বলেন, ‘নাহিদ যেহেতু রাইহানের সঙ্গে গিয়েছিল এবং পরে ফিরে এসেছে, তাই তার কাছ থেকে সত্য তথ্য জানতে মারধর করা হয়েছে। এ জন্য আমি একা দায়ী নই। ’
এক শিক্ষার্থী বলে, ‘এখানে আমাদের খুব মারধর করা হয়। পেট ভরে খেতে দেওয়া হয় না। কাউকে কিছু বললে মারার হুমকি দেয়। ’
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ ঘটনাস্থল থেকে বলেন, আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের নিয়ে যাচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।
রিজভীর মামা লোকমান হোসেন তিনি বলেন, গত ৪ তারিখ খুলনা থেকে একটা কল আসে মোবাইল ফোনে। তারা আমাকে জানান, ট্রেনের মধ্যে রিজভীর ব্যাগ পাওয়া গেছে। এরপর আমরা উপ-তত্ত্বাবধায়ক আসাদুজ্জামানকে জানাই। পরে আমাদের চাপে তিনি থানায় জিডি করেছেন। আমরা দ্রুত রিজভীর সন্ধান চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২৪
এসএম