ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সৎ-সাহসী সাংবাদিকরা সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারেন: খুবি উপাচার্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২৪
সৎ-সাহসী সাংবাদিকরা সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারেন: খুবি উপাচার্য

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, সংবাদপত্র আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সংবাদপত্রের মাধ্যমে আমরা সমাজের ভাল-মন্দ নানা ঘটনা, লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা অনেক অনুসন্ধানী খবর জানতে পারি।

সৎ ও সাহসী সাংবাদিকরা তাদের লেখনির মাধ্যমে সমাজের অন্যায়-অনিয়ম তুলে ধরে সমাজ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান তার একটি দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ।

শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে  খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের নাট্যমণ্ডপে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর উদ্যোগে এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা (এমসিজে) ডিসিপ্লিনের সহযোগিতায় ‘আয়না ও অবশিষ্ট- গণঅভ্যুত্থানের পরে সাংবাদিকতা’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া এখন সংবাদপত্রের স্থান দখল করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরা ছোট ছোট নানা ঘটনা জাতিকে একত্রিত করছে। বিভিন্ন সময়ে আমরা এর প্রমাণ পেয়েছি।  

সেমিনারে সভাপ্রধান ছিলেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। তিনি বলেন, আয়নাঘর ভেঙে গেলেও এর টুকরো টুকরো অংশ এখনো রয়ে গেছে। মিডিয়া ছাড়া আয়নাঘরের বাস্তবতা টিকতো না। এজন্যই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সাংবাদিকতার চালচিত্র নিয়ে এ ধরনের সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে।

সেমিনারে ‘আয়না ও অবশিষ্ট- গণঅভ্যুত্থানের পরে সাংবাদিকতা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ এর গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. সুমন রহমান। আরও আলোচনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমসিজে ডিসিপ্লিন প্রধান সারা মনামী হোসেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস মিম। সেমিনারে খুলনার বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৪
এমআরএম/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।