নীলফামারী: পাখির অভয়াশ্রম নীলফামারীর ‘নীলসাগরে’ পাখির নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আবাসস্থল তৈরি করে দিচ্ছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাটির হাঁড়ি গাছে গাছে বসানো শুরু হয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে নীলসাগরে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফারুক-আল-মাসুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল হকসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, নিরাপদ আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাবে পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। অবাধ বৃক্ষ নিধনের কারণে পাখিরা তাদের নিরাপদ আবাসস্থল হারিয়েছে এবং খাদ্য সংকটের কবলে পড়েছে। ফলে পাখিদের স্বাভাবিক প্রজনন বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া ফসল উৎপাদনে বিষাক্ত কীটনাশকের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় পাখিদের মৃত্যুর হারও বেড়েছে। কালের পরিক্রমায় নানা ধরনের পাখি এখন প্রকৃতিতে দেখাই পাওয়া যায় না। সেই সঙ্গে শোনা যায় না পাখির কলরবও।
তিনি আরও বলেন, পাখিদের বিচরণ ও নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করতে আমরা নীলসাগরের গাছগুলোতে কলস বেঁধে দিচ্ছি। যাতে করে পাখিরা তাদের নিরাপদ আবাসস্থল পায়। পাখিদের স্বাভাবিক প্রজনন বিঘ্নিত যেন না হয়। এছাড়াও এসব অভয়াশ্রমে পাখিদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হবে।
জেলা সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার অদূরে গোড়গ্রাম এলাকায় রয়েছে অষ্টম শতাব্দীর বিরাটরাজার বিন্যাদিঘি। এখন নীলসাগর হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২৪
এসএম