ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মানিকগঞ্জে শিমের ভালো ফলনে আশাবাদী চাষিরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৪
মানিকগঞ্জে শিমের  ভালো ফলনে আশাবাদী চাষিরা

মানিকগঞ্জ: প্রায় পাঁচ বিঘা জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি শিমের আবাদ করেছেন আব্দুল সামাদ,জমি প্রস্তুত থেকে বাজারে তোলা পর্যন্ত খরচ হবে দেড় লাখ টাকা। বাজারদর ভালো পেলে সকল খরচ বাদে লাভ হবে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা আশা এই শিম চাষির।

অতি বৃষ্টির কারণে চলতি মৌসুমে আগাম শীতকালীন সবজি আবাদে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে অধিকাংশ চাষিকেই। তবে উঁচু জমি থাকায় বৃষ্টির পানি দ্রুত নেমে যাওয়াতে শিমের আবাদে আশানুরূপ ফলন হয়েছে। বর্তমান বাজারে শিমের বাজারদর ভালো হওয়ায় সকল লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবে বলে উচ্ছ্বাসিত চাষিরা।  

সরেজমিনে দেখা যায়, চলতি বছরের অক্টোবর মাসের অতি বৃষ্টির কারণে সবজি চাষের বেশ ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। তবে উঁচু জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি শিমের আবাদ করেছেন অনেক চাষি। জেলার সাতটির মধ্যে বিষমুক্ত সবজি আবাদে মানিকগঞ্জ সদর,সাটুরিয়া ও সিংগাইর এই তিনটি উপজেলা খ্যাতি অর্জন করেছে। ওই সকল চাষের জমিতে এখন শিমের ফুলে আছন্ন হয়ে গেছে, শিম ধরতে শুরু করেছে। অনেক জমিতে আবার শিম পরিপক্ব হয়ে যাওয়ায় তা এখন বাজারে উঠতে শুরু করেছে। বর্তমান বাজার মূল্য ভালো হওয়ায় চাষীরা তাদের লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবে এমনটাই আশাবাদী চাষিরা।

সাটুরিয়ার ফুকুরহাটি ইউনিয়নের জান্না এলাকার সৌদি প্রবাসী আজিজুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘ সময় সৌদি আরবে ছিলাম,দেশে ফিরেছি কয়েক মাস হয়। বাড়িতে ফিরেই বাবার সবজি খেতে মনোনিবেশ করি,চলতি মৌসুমে আমরা প্রায় ৪ শত শতাংশ জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজির আবাদ করেছি। এ সকল সবজির মধ্যে ১ শত ২৫ শতাং জমিতে শিমের আবাদ করেছি, ফলনও আশানুরূপ হয়েছে। বর্তমানে বাজারে শিমের যে মূল্য আছে এই দর আর কিছু দিন পেলে অতি বৃষ্টির কারণে যে ক্ষয় ক্ষতি হয়েছিল তা পুষিয়ে নিতে পারবো।  

সদর উপজেলার জাগীর এলাকার চাষি মতিউর রহমান বলেন, চলতি সিজনে আমি ৫ বিঘা জমিতে শিমের আবাদ করেছি। চাষাবাদে অন্য সবজির চেয়ে খরচ অনেকাংশেই কম তবে বাজার দর ভালো পেলে যা খরচ হয় তার চেয়ে দ্বিগুণ লাভ হয়। শিম চাষে খরচ কম লাভ বেশি হওয়াতে অনেকেই এ চাষাবাদে ঝুঁকছেন।  

শিম চাষি আব্দুল সামাদ আরো বলেন, এই মৌসুমে প্রায় ৫ বিঘার মতো জমিতে শিমের আবাদ করেছি, ফলনও আশানুরূপ, বর্তমান বাজার দরও ভালো রয়েছে। এই শিম চাষের জমি প্রস্তুত থেকে বাজারে তোলা পর্যন্ত প্রায় দের লাখ টাকা খরচ হবে। যে বাজার দর এখন আছে আর কয়েক দিন থাকলে খরচ বাদে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মতো লাভ হবে। গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে শিম নিয়ে যাচ্ছি তবে এখনো আড়ৎ গুলোতে তেমন শিমের দেখা মিলেনি। যেহেতু এখনো বাজারে পুরোদমে শিম উঠতে শুরু করেনি সে জন্য এখন বাজার দর অনেক ভালো। এভাবে আর কয়েক দিন দাম পেলে আগাম শীতকালীন সবজির বীজতলা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যে ক্ষতি হয়েছিলো তা পুষিয়ে নিতে পারবো বলেও মন্তব্য করেন এই শিম চাষি।

মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর (খামারবাড়ি)  উপ-পরিচালক ড.বরী আহ নূর আহমেদ বলেন, গত এক সপ্তাহের মতো সময় যাবৎ বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি শিম উঠতে শুরু করেছে। যেহেতু এখনো পুরো সিজনের শিম পুরোপুরি উঠে নি, সে জন্য শিমের বাজার দর অনেকাংশেই বেশী। আশা করা যাচ্ছে সামনে এক সপ্তাহের মধ্যে পুরো দমে শিম উঠতে শুরু করবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ১২ নভেম্বর ২০২৪
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।