ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আইসিসিবিতে নির্মাণ, আবাসন ও বিদ্যুৎ শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২৪
আইসিসিবিতে নির্মাণ, আবাসন ও বিদ্যুৎ শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)শুরু হলো তিন দিনব্যাপী নির্মাণ সামগ্রী, নির্মাণ প্রণালী ও সরঞ্জামকেন্দ্রিক দেশের সবচেয়ে বড় চারটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী।  

এগুলো হলো- বিল্ড সিরিজ অব এক্সিবিশন বিষয়ক ‘২৯তম বিল্ড বাংলাদেশ ২০২৪’; রিয়েল এস্টেট ও হাউজিং সেক্টর বিষয়ক ‘২৩তম রিয়েল এস্টেট এক্সপো ২০২৪’; ওয়াটার প্রযুক্তি ও সমাধান বিষয়ক ‘ষষ্ঠ ওয়াটার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপো ২০২৪’; বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশন ও নবায়নযোগ্য শক্তি বিষয়ক ‘২৬তম পাওয়ার বাংলাদেশ ২০২৪’; ‘২১তম সোলার বাংলাদেশ ২০২৪’, এবং ‘ষষ্ঠ ঢাকা আন্তর্জাতিক লাইটিং এক্সপো ২০২৪’।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) কুড়িলে আইসিসিবির  কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ) এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। এটি ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।

প্রদর্শনীসমূহ উদ্বোধন করেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন সেমস-গ্লোবালের সিইও এস. এস. সারওয়ার প্রমুখ।

মেহেরুন এন. ইসলাম প্রদর্শনীসমূহের নানাবিধ বিষয় তুলে ধরে বলেন, বহুমাত্রিক শিল্পক্ষেত্র নিয়ে আয়োজিত এ প্রদর্শনীসমূহ বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আমরা আশাবাদী। একাধারে নির্মাণশিল্প, আবাসন ও বিদ্যুৎ শিল্পের অগ্রগতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্মাণশিল্প বাজারের আকার ২০২৮ সালে ৪১.৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, যা ২০২৩ সালেও ছিল ৩০.৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কাজেই বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অগ্রগতির পেছনে নির্মাণ খাত একটি বড় চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচ্য। সুতরাং প্রদর্শনীসমূহ সংশ্লিষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সরাসরি বি-টু-বি যোগাযোগ স্থাপন ও বাণিজ্যের প্রসারে এক ছাদের নিচে নানাবিধ সমস্যার ফলপ্রসূ সমাধান প্রদানের লক্ষ্যে আয়োজিত হচ্ছে।  

প্রদর্শনীসমূহে ৫০০ এর অধিক বুথসহ ২০টি দেশের প্রায় ১৯৫টিরও বেশি কোম্পানি অংশ নিয়েছে বলেও তিনি জানান।

আয়োজক সূত্রে জানা যায়, বহুমাত্রিক প্রদর্শনীসমূহ সংশ্লিষ্ট শিল্পক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। পাশাপাশি বি- টু-বি সংযোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে ত্বরান্বিত করছে। যা ক্রেতা এবং সরবরাহকারীদের রাজধানী ঢাকায় একই ছাদের নিচে একত্রিত হয়ে পণ্য প্রদর্শন ও একে অপরের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের ওয়ান-স্টপ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে।

প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চলবে এবং দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। পাশাপাশি প্রদর্শনী চলাকালে সংশ্লিষ্ট শিল্প বিষয়ক তিনটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২৪
ইএসএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।