ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘বাংলাদেশে আর কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান চাই না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
‘বাংলাদেশে আর কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান চাই না’

বরিশাল: ‘আমরা বাংলাদেশে আর কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান চাই না। চাই না বলেই এবারের ছাত্র, শ্রমিক জনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতেই হবে।

সমস্ত রাজনৈতিক দলের এখন চ্যালেঞ্জ জনগণের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা। ’

রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বরিশালে অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে গণসংহতি আন্দোলনের আয়োজনে জনতার শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।

জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তারা নেতারা বলেন, এই জনপদের ইতিহাসে মওলানা ভাসানী এমন এক রাজনৈতিক নেতৃত্ব যিনি প্রতিটি সন্ধিক্ষণে আমাদের সামনে দিশা দেখিয়েছেন। মওলানা ভাসানীকে যখন স্মরণ করি তখন আমরা তার সংগ্রামকে স্মরণ করি। মওলানা ভাসানী আমাদের দুটি প্রশ্নের মুখোমুখি করে দেয়। একদিকে স্বাধীনতা, জাতীয় সার্বভৌমত্ব অন্যদিকে কৃষক, শ্রমিকসহ সকল খেটে খাওয়া মানুষের মুক্তি। মওলানা ভাসানীর দেখানো ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থানের পথ ধরে ছাত্র-জনতা সম্প্রতি এক অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে জনগণের মুক্তির নতুন সম্ভাবনা হাজির করেছে। ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে তাদের সম্মিলিত উত্থানে যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সম্ভবনা হাজির করেছে তা নস্যাৎ করতে ইতোমধ্য গণঅভ্যুত্থানে পরাজিত শক্তি ও তার দোসররা দেশে বিদেশে নানা চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। ’

তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সৃষ্ট নতুন সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে আমাদের প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যের। আমরা যদি জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে চাই তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে একটা গণতান্ত্রিক সংবিধান, রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার, একটি নতুন বন্দোবস্ত এবং তার ভিত্তিতে নির্বাচন তার জন্য লড়াই করতে হবে। কোনো ফ্যাসিস্ট শক্তি আবার যেন আমাদের কাঁধে না চেপে বসতে পারে সেজন্য অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক শক্তিকে সংহত রাখতে হবে। ’

সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু বলেন, অভ্যুত্থানের তিন মাস অতিক্রম হলেও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি। সরকারি উদ্যোগে আন্দোলনে আহত ও নিহত ছাত্রজনতার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করতে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হয়েছে। আহত বীরদের সরকারি খরচে অবিলম্বে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে ও নিহত শহীদের জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। সকল ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক বিশ্বাসের মানুষের নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আকাশছোঁয়া নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমাতে হবে। মওলানা ভাসানীর পথ ধরে জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে বেগবান করতে হবে। ’

গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির সদস্য সাকিবুল ইসলাম সাফিনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা নির্বাহী সমন্বয়কারী আরিফুর রহমান মিরাজ, মওলানা ভাসানী মৃত্যুবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক ডাক্তার মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি বরিশাল বিভাগের যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুর রহমান খোকন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য অধ্যাপক আবুল কাশেম তালুকদার, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের বরিশাল বিভাগের সভাপতি শেখ আবুল হাসেম, গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির সদস্য হাছিব আহমেদ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক রাইদুল ইসলাম সাকিব প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
এমএস/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।