ঢাকা: অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট গৌতম চন্দ্র ঘোষের বাসার গ্রিল কেটে প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ আড়াই লাখ টাকা চুরির ঘটনায় সুত্রাপুর থানায় মামলা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার সুত্রাপুরের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের রূপলাল দাস লেনের একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে। রোববার (১৭ নভেম্বর) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম।
সাংবাদিক গৌতম চন্দ্র ঘোষ অভিযোগে বলেন, গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে আমার ২৩/সি রূপলাল দাস লেনস্থ ভাড়াবাসায় (২য় তলার ফ্ল্যাট নং এ-২) তালা দিয়ে ঘরের সবাই পারিবারিক কারণে মুন্সিগঞ্জ যাই। বৃহস্পতিবার মুন্সিগঞ্জ থেকে ফিরে রাত ১০টায় আমার ফ্ল্যাটের মূল দরজার তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করি।
কিন্তু তিন রুমের ফ্ল্যাটের মধ্যে দুই রুমের দরজা খুলতে পারলেও অপর রুমের দরজার তালা ভেতর থেকে লক থাকার কারণে একাধিকবার চেষ্টা করেও সেখানে ঢুকতে পারিনি। পরে রাত প্রায় ১০টা ৪০ মিনিটে আমি আমার পাশের বিল্ডিংয়ের ভাড়াটিয়াদের মাধ্যমে জানতে পারি যে, আমার ওই রুমের জানালার গ্রিল কাটা। এরপর কাটা গ্রিল দিয়ে এলাকার পরিচিত এক লোকের সহযোগিতায় ওই রুমের দরজাটি খুলতে পারি।
তিনি আরও জানান, রুমে প্রবেশ করার পর দেখতে পাই যে, আমার রুমে থাকা স্টিলের আলমিরার তালা ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। আলমিরার ভেতরে থাকা আমার মায়ের একজোড়া স্বর্ণের বালা—যার ওজন ২ ভরি, কানের টানাসহ একজোড়া স্বর্ণের দুল—যার ওজন ১ ভরি, স্বর্ণের ১টি বড় হার—যার ওজন ২ ভরি, ১টি স্বর্ণের লকেট—যার ওজন ৮ আনা, ১টি স্বর্ণের আংটি—যার ওজন ৬ আনা; আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রীর এক জোড়া স্বর্ণের বালা—যার ওজন ২ ভরি, একজোড়া স্বর্ণের চূড়—যার ওজন ৩ ভরি, একটি স্বর্ণের কণ্ঠচিক—যার ওজন ২ ভরি, একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল—যার ওজন ১০ আনা, একজোড়া স্বর্ণের কানের টানা—যার ওজন ১২ আনা, একটি স্বর্ণের আংটি—যার ওজন ৬ আনা, ১টি স্বর্ণের গলার চেইন—যার ওজন ১০ আনা, একজোড়া ছোট স্বর্ণের কানের দুল—যার ওজন ৪ আনা; আমার বড় ভাইয়ের স্বর্ণের ১টি হাতের ব্রেসলেট—যার ওজন ১ ভরি, ভাইয়ের হাতের ২টি স্বর্ণের আংটি—যার ওজন ১ ভরি; আমার স্ত্রীর গলার ২টি স্বর্ণের চেইন—যার ওজন ১.৮ ভরি, ২টি স্বর্ণের আংটি—যার ওজন ১২ আনা এবং অন্যান্য ভাঙারি স্বর্ণ—আনুমানিক যার ওজন ১ ভরি ১০ আনা; সর্বমোট প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণ—যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা এবং আলমিরার ভেতরে থাকা নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেই।
সাংবাদিক গৌতম আরও বলেন, গত ১৩ নভেম্বর বিকেল ৫টা থেকে ১৪ নভেম্বর রাত ১০টার মধ্যে যে কোনো সময়ে কে বা কারা আমার ফ্ল্যাটের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে আমার স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ চুরি করে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করতে আমার কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এই সাংবাদিক।
সুত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সাংবাদিকের বাসায় গ্রিল কেটে ২০ ভরি স্বর্ণ ও আড়াই লাখ টাকা চুরির ঘটনায় আজ একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এ বিষয়ে তদন্ত ও আইনের মধ্যে থেকে কাজ করার চেষ্টা করছি আমরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
এমএমআই/এমজেএফ