নীলফামারী: জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের বাবা আলমগীর হোসেনের কর্মসংস্থান করে দিলেন নীলফামারীর সৈয়দপুর
পৌর প্রশাসক।
পৌরসভা কার্যালয়ে ওয়াক্তিয়া নামাজের স্থান নির্ধারণ করে সেখানে আলমগীর হোসেনকে ইমামতির দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।
নামাজ শেষে দোয়া অনুষ্ঠানের আগে বক্তব্য দেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পৌর প্রশাসক নুর ই আলম সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, শহীদ সাজ্জাদ হোসেন ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। লেখাপড়ার পাশাপাশি গার্মেন্টসে চাকরি করে সংসার চালাতেন সাজ্জাদ। তিনি শহীদ হওয়ার পর তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়েন বাবা আলমগীর হোসেন। তার খুব ইচ্ছে মসজিদে খেদমত করার। তাই প্রচেষ্টা ছিল সৈয়দপুর মডেল মসজিদে কোনো পদে নিয়োগ দেওয়ার। কিন্তু সেখানে পদ খালি না থাকায় সম্ভব হয়নি।
এসময় আলমগীর হোসেন বলেন, স্ত্রী, দুই মেয়ে আর ছেলের বউকে নিয়ে খুবই কষ্টে আছি। এখনও সরকারিভাবে তেমন কোনো সহযোগিতা পাইনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুরের বিএনপি নেতা শওকত হায়াত শাহ, পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম, হিসাব রক্ষক আবু তাহেরসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্র সমন্বয়ক ও সাংবাদিকবৃন্দ।
সৈয়দপুরের কৃতি সন্তান সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং চূড়ান্ত সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন সাজ্জাদ হোসেন। তিনি গত ৫ আগস্ট সাভারে রাজপথে আন্দোলনকালে গুলিবিদ্ধ হন। পরের দিন সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তাকে সৈয়দপুর হাতিখানা কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৪
এসআই