ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দাবি আদায় না হলে আমরণ অনশনের ঘোষণা নকল নবীশদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৪
দাবি আদায় না হলে আমরণ অনশনের ঘোষণা নকল নবীশদের

ঢাকা: আগামী বৃহস্পতিবারের (২১ নভেম্বর) মধ্যে দাবি আদায় না হলে রোববার (২৪ নভেম্বর) থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি করবে বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী নকল নবীশ দাবি আদায় পরিষদ। নিজেদের জাতীয়করণের দাবিতে তারা এ আন্দোলন করছেন।

বুধবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ৫৬১টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত নকল নবীশদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে পরিষদ। সেখানেই আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন পরিষদের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে দাবি আদায় না হলে রোববার থেকে আমরণ অনশন করবো। আমরা আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ৩২ দিন ধরে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছি। আমাদের দাবি মেনে না নিলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, আইজিআর অফিস, তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের সামনে আমরণ অনশন করা হবে। আর যদি সরকার দাবি মেনে নেয় তাহলে শনিবার আবার সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি স্থগিত করা হবে।

তিনি বলেন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত ১৬ হাজার ২৪৬ জন এক্সট্রা-মোহরার/নকল নবীশদের জাতীয়করণের দাবিতে ১৯৮২ সাল হতে আন্দোলন চলছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মহান সংসদসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ ও কর্মকর্তাগণ নকল নবীশদের চাকরি জাতীয়করণের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর বহু সরকারের পালাবাদল ঘটে। কিন্তু নকল নবীশদের খোঁজ কেউ রাখেনি।

তিনি বলেন, নকল নবীশরা সরকারি কোনো বেতন ভাতা পান না। সমাজের মানুষ জানে তারা সরকারি চাকরি করেন। কিন্তু বাস্তবে নকল নবীশরা জমির দলিলের এক পৃষ্ঠা বালামে লিখলে মাত্র ২৪ টাকা মজুরি পায়। প্রকৃতপক্ষে এক পৃষ্ঠা বালাম লেখার জন্য জনগণের কাছ থেকে সরকার রাজস্ব নেয় ৪০ টাকা। সেখান থেকে নকল নবীশদের দেওয়া হচ্ছে ২৪ টাকা। বাকি ১৬ টাকা রাজস্ব খাতে জমা হচ্ছে। নকল নবীশদের টাকা দিয়েই তাদের চাকরি জাতীয়করণ করা সম্ভব। নকল নবীশদের দীর্ঘদিনের দাবি চাকরি জাতীয়করণ করা হোক। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার অভাবে আমরা আজও অন্ধকারেই রয়ে গেছি।

তাই আমি আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য, বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

সংগঠনের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন হোসেন, সহ-সভাপতি, রবিউল ইসলাম রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, কোষাধ্যক্ষ শামীম আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৪
এমএমআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।