ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতি সংরক্ষণে রেড অ্যালার্ট জারি করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২৪
ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতি সংরক্ষণে রেড অ্যালার্ট জারি করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (বিএলআরআই) দেশীয় প্রজাতিগুলোর একটি জিন ব্যাংক উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বিদেশি জাতগুলোর অভিযোজনের পাশাপাশি দেশীয় জাতগুলো সংরক্ষণেও বিএলআরআইকে ভূমিকা রাখতে হবে।

রোববার (০১ ডিসেম্বর) সাভারে অবস্থিত বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে সদ্য সমাপ্ত গবেষণাগুলোর ফলাফল ও অগ্রগতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে ‘বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেছেন।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, যেসব প্রজাতি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, প্রয়োজন হলে বিএলআরআই থেকে সেসব প্রাণী সংরক্ষণে রেড অ্যালার্ট জারি করতে হবে। পাশাপাশি দেশের কোন এলাকায় কোন প্রজাতির প্রাণিসম্পদ বেশি পাওয়া যায়, সে সংক্রান্ত একটি ম্যাপ প্রণয়নেও বিএলআরআইকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ফরিদা আখতার বলেন, মাংস আমদানি হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। বহু বিদেশি সংস্থা আমাদের কম দামে মাংস আমদানির প্রস্তাব দেয়। তাদের এই প্রস্তাবের কারণে সরকারও অনেক সময় চাপে পড়ে যায়। কিন্তু দেশেই মাংস উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। কেবল কোরবানিকেন্দ্রিক মাংসের বাজার বিবেচনা না করে সারা বছর কী পরিমাণ মাংসের চাহিদা থাকে, তা বিবেচনায় নিয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। মাংসের দাম কেন বাড়ে তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে বিএলআরআইকে। দেশীয় জাতগুলোর উন্নয়নের মাধ্যমে বিএলআরআই-কে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে নির্দেশনা দেন তিনি।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ অভিঘাত মোকাবিলার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যুগোপযোগী গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। আমাদের দেশীয় জাতগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে কতটা খাপ খাইয়ে নিতে পারছে, সে সংক্রান্ত গবেষণা করতে হবে। পাশাপাশি মৌসুমভেদে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা এবং এর সাথে সাথে প্রাণীদের উৎপাদনে কী ধরনের পরিবর্তন আসছে, সে সংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বাজারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হবে।

বিএলআরআই-এর সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বস্ত করেন প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।

বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক। কর্মশালায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিএলআরআই-এর বিজ্ঞানী, বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত খামারিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২৪
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।