ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভারত সব সময় বাংলাদেশকে দেখেছে আওয়ামী লীগের চোখে: হাসনাত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪
ভারত সব সময় বাংলাদেশকে দেখেছে আওয়ামী লীগের চোখে: হাসনাত হাসনাত আব্দুল্লাহ

ঢাকা: ভারত সব সময় আওয়ামী লীগের চোখ দিয়ে বাংলাদেশকে দেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা বলেন, তাদের (ভারত) সম্পর্কটি জনগণের সঙ্গে জনগণের হয়নি, রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের হয়নি। বরং ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের হয়েছে। আমরা বলতে চাই ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের জনগণের বিমাতাসূলভ সম্পর্ক নেই। বরং ভারতের সরকার দেড় যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আওয়ামী লীগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। আমাদের অস্বস্তি সেই জায়গায়।

ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কটি যেন জনগণের সঙ্গে জনগণের। রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের হয়।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলামনারা এক সঙ্গে লড়াই করব। ভারত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগকে নির্ভর করে যে অন্যায্য সম্পর্ক তৈরি করেছে। আপনারা যদি মনে করেন আবারও এ ধরনের অন্যায্য সম্পর্ক তৈরি করতে পারবেন, তাহলে ভ্রান্তির মাধ্যমে এসেছেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের রায়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এসেছে। আওয়ামী লীগের দৃষ্টিতে না দেখে, জনগণের দৃষ্টি দিয়ে সরকারের সঙ্গে ন্যায্যতার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। কোনো কারণে সম্পর্ক খারাপ হলে অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে একহাত, একচুল পরিমাণও ছাড় দেব না।  

সাম্প্রদায়িক ট্রাম্প কার্ড বিশ্ব মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে দাবি করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বলা হচ্ছে গণঅভ্যুত্থান হচ্ছে ইসলামী উগ্রবাদের সৃষ্টি। বিষয়টি যে এরকম না, বরং সব শ্রেণীপেশার, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। সংখ্যালঘু রয়েছে, যদিও শব্দটি ব্যবহার করতে সংকোচবোধ করি। বাংলাদেশের প্রত্যেকে সাম্য ও মর্যাদার মাধ্যমে জীবন ধারণ করছে। আমাদের সম্প্রীতি রয়েছে, তা কীভাবে বিশ্বের দরবারে আরও বেশি প্রচার করা যায় এবং প্রপাগান্ডা বিরোধী সেল তৈরি করা যায় এ বিষয়ে কথা হয়েছে।

বৈঠক শেষে যমুনার গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ও মুখপাত্র আবদুল হান্নান মাসুদ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পরে শুরু হওয়া এ বৈঠক শেষ রাত ৮টার পরে।

ভারত সরকারের সঙ্গে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় করা ‘অসম চুক্তি’ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ফেলানীসহ সীমান্তে যতগুলো হত্যা হয়েছে তার বিচার নিশ্চিত এবং পানির ন্যায্য হিস্যা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক যাতে ন্যায্যতার ভিত্তিতে হয় এবং তাতে মর্যাদা থাকে এমন কথা বলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৪
এমইউএম/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।