ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

হাসিনা ফিরলে গণহত্যার আসামি হয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২৪
হাসিনা ফিরলে গণহত্যার আসামি হয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা

ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হাসিনা যদি আদৌ বাংলাদেশে আসে, হাসিনা যদি ধৃষ্টতার চিন্তা করে দেশে ফিরে আসে, তাহলে তাকে ফিরতে হবে গণহত্যার আসামি হয়ে। গণহত্যার বিচারের জন্য তাকে আগে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

তার জায়গা কাঠগড়ায়।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের স্বাবলম্বীকরণে সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা। বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানার সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার মতো একজন ফ্যাসিস্টকে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে কোনো রাজনৈতিক দল কোনো আন্দোলনে পারেনি, পেরেছে ছাত্র-জনতা। সেই আন্দোলনে ছাত্রের পাশাপাশি যারা আহত নিহত হয়েছে তাদের কেউ রিকশা চালাতো, কেউ গ্যারেজে কাজ করতো। কেউ বেকার ছিল না। তাদের জীবন ছিল। দেশের কারণে অন্যায় সহ্য করতে না পেরে তারা কিন্তু রাস্তায় নেমেছিল।

তিনি আরও বলেন, আমরা যারা সুস্থ আছি, যারা রাস্তায় ছিলাম, অনেকে ভাল আছি। হাসনাত, সারজিসরা সুস্থ আছে, আল্লাহর শুকরিয়া। কিন্তু আমাদের দায়িত্ব, দায়বদ্ধতা এখন অনেক বেশি। আমরা যদি জুলাই বিপ্লবের জড়িতদের জন্য কিছু করতে না পারি তাহলে আমাদের যে শাস্তি দেবেন মাথা পেতে নেবো।

অন্তবর্তী সরকার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার করবে উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, এখন যারা বিজিবিতে আছেন তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। তাদের উদ্দেশে বলছি, আপনারা অবশ্যই বিজিবির পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইবেন। পিলখানা হত্যার বিচার আমরা চাইবোই, এ বিচার হতেই হবে। এ সরকার পিলখানা হত্যার বিচার অবশ্যই করবে।

বিজিবিকে অনুরোধ করে তিনি বলেন, আমার মন্ত্রণালয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ। ইলিশ নিয়ে আমরা অনেক বিপদে থাকি। ভারত আমাদের ইলিশ ছাড়া খাবে না, অথচ তাদের গঙ্গায় ইলিশ হয়। সেই গঙ্গার ইলিশ আবার স্বাদ নেই। পদ্মার ইলিশ তাদের লাগবে। কাজেই এখান থেকে চোরাচালনের মাধ্যমে যে ইলিশ ভারতে যায় সেজন্য নজরদারি বাড়ানোর অনুরোধ।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, লেখক, গবেষক ও চিন্তক ফরহাদ মজাহার, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মেজর আহমেদ ফেরদৌস (অব.) ও উইমেন সাপোর্ট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মিসেস তৌহিদা হকিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ৪ জন আহতকে স্বাবলম্বীকরণে এক লাখ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয় এবং দুইজনকে দুইটি অটোরিকশা ও একজনকে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২৪
এসসি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।