ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ইজতেমা মাঠে হামলাকারীরা ছাত্রলীগ, দাবি আহত নুর আলমের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
ইজতেমা মাঠে হামলাকারীরা ছাত্রলীগ, দাবি আহত নুর আলমের খুলনায় জুবায়েরপন্থিদের মানববন্ধন

খুলনা: টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে হামলাকারীদের ছাত্রলীগ বলে দাবি করেছেন ওই ঘটনায় আহত খুলনার তাবলিগ-কর্মী নুর আলম।  

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে মহানগরীর নিরালাস্থ তাবলিগ মসজিদের সামনের সড়কে খুলনার সর্বস্তরের মুসল্লিদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি করেন তিনি।

টঙ্গীতে ইজতেমা ময়দানে তাবলিগ জামাতের ঘুমন্ত সাথীদের হত্যার প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে জুবায়েরপন্থি আহত নুর আলম বলেন, আমরা ইজতেমার ময়দানে কাজ করছিলাম। রাত ৩টার দিকে আক্রমণ শুরু করে। ঠেকাতে গেলে আমার মাথায় আঘাত লাগে। এখানে ৮টা সেলাই লেগেছে। আমি ঠিক মতো হাঁটতে পারছি না। পিঠে ও কোমরে ব্যথা। কীভাবে যে পিটিয়েছে! আমাদের তো মাওলানা মামুনুল হক পাঠায়নি। আমাকে পাঠিয়েছে তাবলিগ মসজিদ থেকে। হামলাকারীরা পিটায় আর বলে তোদের মামুনুল হক পাঠিয়েছে। তোদের নেতা কি মামুনুল হক? হামলাকারীদের চিনে ফেললে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যারা পিটিয়েছে তাদের বয়স ১৯-২১ এর মধ্যে। সবাই প্যান্ট পরা। আমি মনে করলাম, এরা ছাত্রলীগ ছাড়া আর কিছু হবে না। আমি চাই এদের চিহ্নিত করে আইনের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করা হোক।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন - মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া, মাওলানা আজিজুর রহমান, হাফেজ মাওলানা আব্দুল মজিদ হারুনুর রশিদ মুফতি সেলিম উল্লাহ, মাওলানা মো. আব্দুল্লাহ যোবায়ের, মুফতি মাহমুদুর রহমান প্রমুখ ।

এসময় বক্তারা বলেন, আগামীকাল শুক্রবার থেকে খুলনা তাবলিগ মসজিদে সাদপন্থিদের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া ওই দিন জুমার নামাজ পড়াবেন এতোদিন বঞ্চিত থাকা মাওলানা জুবায়েরপন্থির ইমাম।

মানববন্ধন থেকে সরকারের কাছে তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থিদের নিষিদ্ধের দাবি জানান বক্তারা।

গত ১৭ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠের দখলকে কেন্দ্র করে জুবায়েরপন্থি ও সাদপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও শতাধিক আহত হওয়া ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে নিহতরা হলেন—কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের মৃত উসমান মিয়ার ছেলে আমিনুল হক ওরফে বাচ্চু (৭০)। ঢাকার ভাটারা থানার বেড়াইদ এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে বেলাল হোসেন (৬০)। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। আরেকজন বগুড়া জেলা সদরের সবগ্রাম নাড়ুলির বাসিন্দা তাজুল ইসলাম (৬০)।  

আহতরা হলেন—আ. রউফ (৫৫), মজিবুর রহমান (৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ (৪৪), উকিল মিয়া (৫৮), পান্ত (৫৫) টঙ্গী, খোরশেদ আলম (৫০) বেলাল (৩৪), আনোয়ার (৫০), আবু বক্কর (৫৯), আরিফুল ইসলাম (৫০), আনোয়ার (২৬), আনোয়ার (৭৬), ফোরকান আহমেদ (৩৫), আ. রউফ (৫৫) মজিবুর রহমান (৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪),  ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ (৪৪)।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা,  ডিসেম্বর ১৯,  ২০২৪
এমআরএম/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।