ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আরাফাত (১১) নামে আরও এক কিশোর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যায় সে।
আরাফাতের মৃত্যুর তথ্যটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেল সম্পাদক (দপ্তর সেল) জাহিদ আহসান নিশ্চিত করে শোকবার্তা দিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, শহীদের মিছিল ভারি করে ২২ ডিসেম্বর রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ১২ বছর বয়সের কিশোর গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধা, গুলিবিদ্ধ আরাফাত শাহাদাতবরণ করেছেন। রাজধানীর সিএমএইচে চিকিৎসারত অবস্থায় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে) হয়ে তিনি শাহাদাতবরণ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
শোকবার্তায় আরও বলা হয়েছে, শাহাদাতবরণ যেভাবে আমাদের বেদনাতুর করে, সেভাবেই সাহস এবং উৎসাহ জোগায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের। আমরা শহীদদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গড়তে এক বিন্দুও পিছপা হবো না। শহীদ আরাফাতের মৃত্যুসহ জুলাই গণহত্যার কুশীলব শেখ হাসিনা, তার সঙ্গী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং গুলি চালানো বাহিনীর সকল সদস্যদের অতিদ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। শহীদ আরাফাতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আজ সোমবার বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ আরাফাতের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
জানা যায়, চিকিৎসায় আরাফাতের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু গত একমাস ধরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এর আগেও তিনবার তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এক পর্যায়ে তাকে দেশের বাইরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৪ ডিসেম্বর আরাফাতকে দেশের বাইরে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
আরাফাতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আরাফাত গত ৫ আগস্ট উত্তরার আজমপুর পূর্ব থানার সামনে পুলিশের গুলিতে আহত হয়। প্রথমে তাকে আধুনিক হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে ফেরত দেওয়া হয়। এরপর নেওয়া হয় কুর্মিটোলা হাসপাতালে। সেখান থেকে তাকে সিএমএইচে পাঠানো হয়। সাড়ে ৪ মাস সেখানে ভর্তি থাকার পর রোববার রাতে সে মারা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
এসএএইচ