নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবাজার এলাকায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে শবনম পারভিন (২৫) নামে এক নববধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টায় ঘরের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে সৈয়দপুর থানার পুলিশ।
শবনম শহরের ফুচকা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের দ্বিতীয় স্ত্রী ও উপজেলার বাঙালীপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মণপুর পীরপাড়ার মৃত আব্দুর রহমান ও ফারজানার মেয়ে। তার একটি মেয়ে রয়েছে। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে।
গৃহবধূর স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেন সৈয়দপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়ার (দর্জিপাড়া) মমতাজ হোসেনের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। প্রথম স্ত্রী ও সন্তান থাকা অবস্থায় এক মাস আগে তিনি শবনমকে বিয়ে করেন। কিন্তু এতদিন শবনম তার মায়ের বাড়িতেই ছিল।
গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) শহরের নয়াবাজার এলাকায় আব্দুল মজিদ খানের বাড়ির একটা রুম ভাড়া নিয়ে সেখানে শবনমকে এনে রাখেন। বিষয়টা শবনমের মাসহ পরিবারের কেউ জানতেন না। তাই তিনি সেদিন থেকে শবনমের মেয়েকে নিয়ে নিজের মেয়েকে খুঁজে ফিরছেন।
এলাকাবাসী জানায়, মাসখানেক আগে একটা ছেলে ও একটা মেয়ে এখানে ঘর ভাড়া নিয়েছিল। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ছেলেটি ঘরটা বাইরে থেকে তালা মেরে অনত্র চলে যায়। সন্ধ্যায় মেয়ের মা এসে ঘরের জানালা দিয়ে দেখেন মেয়েটি খাটের ওপর লেপ কাঁথা দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় পড়ে আছে। অনেক ডাকাডাকির পরও সাড়া না দেওয়ায় চিৎকার করেন তিনি।
এতে আশপাশের লোকজন এসে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার এ কে এম ওয়াহিদুন্নবী (সৈয়দপুর সার্কেল) ও সৈয়দপুর থানার ওসি ফইম উদ্দিন এসে তালা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে।
শবনমের মা ফারজানা বলেন, জাহাঙ্গীর ও তার প্রথম স্ত্রী পরিকল্পনা করে আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমি এখন আমার অবুঝ নাতিকে নিয়ে কীভাবে বাঁচবো। আমি মেয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে তালা ভেঙে ভাড়ায় নেওয়া ঘর থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করতে হবে। সেজন্য আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ নীলফামারী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। স্বামী পলাতক রয়েছে। মামলা হলে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
আরএ