ঢাকা: ঢাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টার পরপরই চারদিক কাঁপিয়ে আতশবাজি ও পটকা ফোটাতে থাকে। এর পাশাপাশি ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে উচ্চ স্বরে গান বাজানো চলমান থাকে।
এদিকে ধানমন্ডি ৪ নম্বর রোড এলাকায় ফানুস পড়ে একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তবে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন সেটি নিভিয়ে ফেলে।
এছাড়া জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে জানা যায়, ফানুস ও আতশবাজি পোড়ানোর কারণে দুই শিশু দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) ডা. শাওন বিন রহমান জানান, ইংরেজি নতুন বছর বরণে পটকা ফোটানোর কারণে দুই শিশু দগ্ধ হয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে একজনের নাম ফারহান (৮)। তার শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আরেক শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের বিস্তারিত ঘটনা জানা যায়নি। তাদের পরিবার বলেছে, নতুন বছর বরণ করতে রাস্তাঘাটে পটকা ফোটানোর কারণে তারা দগ্ধ হয়েছে।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রাফি আল ফারুক রাত পৌনে ২টায় জানান, উড়ন্ত অবস্থায় একটি ফানুস ধানমন্ডি চার নম্বর রোডের একটি সুপারশপের ওয়েস্টিজ মালামালের মধ্যে পড়লে সেখানে প্রচণ্ড ধোঁয়া হয়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে স্থানীয় লোকজন সেটি নিভিয়ে ফেলে।
মগবাজার মোড় এলাকার স্থানীয় বেশ কিছু বাসিন্দা জানান, মগবাজার টিউলিপ সেলুনের পাশের গলিতে রাতভর গান বাজনা ও খাওয়া দাওয়া ও পটকা ফোটানোর মহড়া চলে। এতে আশেপাশের লোকজন আতঙ্কে রাত কাটাতে থাকে। শিশুরা একটু পরপর কেঁপে উঠে কান্নাকাটি শুরু করে।
এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন অলিতে-গলিতে নতুন বছর বরণের বাজি ফোটানোর উৎসব চলতে থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে দফায় দফায় এগুলো না করতে নির্দেশনা দেয়। কিন্তু এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২৫
এজেডএস/আরআইএস