বাগেরহাট: পৌষের শীতে কাঁপছে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের মানুষ। তীব্র শীতে জনজীবনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরেও সূর্যের দেখা মেলেনি এ জেলায়। তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এ বছরের শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন। এ পরিস্থিতি আরও দু-একদিন থাকতে পারে বলে ধারণা আবহাওয়া অধিদপ্তরের।
তীব্র শীতে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন বোরো ধান চাষি, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষরা। অতিরিক্ত শীতে ধানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ধারণা কৃষকদের। তবে শীতে খেজুরের রসের মান ভালো হচ্ছে।
কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুস ছালাম বলেন, এখনই মূলত জমিতে ধান লাগানোর সময়। কিন্তু প্রচণ্ড শীতে জমিতে নামা যাচ্ছে না। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে। দুপুর পর্যন্ত সূর্য ওঠেনি। এভাবে থাকলে ধানের ক্ষতি হতে পারে।
বাগেরহাট শহরের রিকশাচালক রবিউল বলেন, পেটের টানে রিকশা নিয়ে বের হইছি। শীতে লোকজন তেমন বাইরে বের হচ্ছে না। তাই যাত্রী কম, আয়ও কম।
খেজুর গাছ কেটে রস বের করার কাজে নিয়োজিত আবুল হোসেন বলেন, শীতে সবকিছুর সমস্যা হলেও খেজুর গাছে রস বেড়েছে। রসের মানও ভালো।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, আজ বাগেরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি আনুমানিক দুই থেকে তিনদিন থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৪
আরবি