ঢাকা, সোমবার, ২২ পৌষ ১৪৩১, ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

প্লেনে ওঠার আগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২৫
প্লেনে ওঠার আগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আলম হামিম

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের নান্দাইলে কলেজছাত্র মুরাদ হাসান (১৭) হত্যা মামলার মূলহোতা ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আলম হামিমকে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে কাতারে পাড়ি জমাতে হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে এলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম নান্দাইল উপজেলার আলাবক্সপুর গ্রামের মো. আবুল কালামের ছেলে। তিনি নান্দাইল শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ শাখার ছাত্রলীগ নেতা।  অপর দিকে নিহত মুরাদ নান্দাইল পৌসভার কাকচর মহল্লার বাসিন্দা মো. তফাজ্জল হোসেনে ছেলে।  

শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে আশরাফুল আলম হামিমকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহম্মেদ।  

তিনি জানান, চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চলমান ছিল। এই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা হামিম বিদেশ চলে যাওয়ার জন্য সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। যেকোনো সময় তিনি বিদেশ পাড়ি জমাতে পারেন। এ অবস্থায় গতকাল (শুক্রবার) কাতার যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তে তাকে বিমান বন্দর থানা পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামিকে নান্দাইল থানা পুলিশের হেফাজতে নিয়ে আসার কাজ প্রক্রিয়াধীন, বিস্তারিত পরে প্রেস বিফ্রিংয়ে জানানো হবে।    

স্থানীয় সূত্র ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, নান্দাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালে স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় লিফলেট বিতরণ করছিলেন কলেজছাত্র মুরাদসহ অনেকেই। এ সময় তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেয় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থক স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা। এ সময় তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণাকারীদের মারধরসহ ধাওয়া দেয়। ধাওয়া দিয়ে স্থানীয় চন্ডীপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠের কিনারায় নিয়ে মুরাদসহ অনেককেই লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতারা। এতে অন্যরা আহত হয়ে পালিয়ে রক্ষা পেলেও মুরাদ মাটিতে পড়ে যায়। এই সুযোগে ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আলম হামিম ভিকটিম মুরাদের বুকের ওপর উঠে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করেন। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে মুরাদ মারা যান। এ ঘটনায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করে নিহতের পরিবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে নান্দাইল থানা পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা হামিম পলাতক ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২৫
এসএএইচ 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।