ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক  

তরা সেতুর এক্সপানশন জয়েন্টে দুর্ঘটনার ঝুঁকি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৫
তরা সেতুর এক্সপানশন জয়েন্টে দুর্ঘটনার ঝুঁকি 

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কালীগঙ্গা নদীর উপর নির্মিত তরা সেতুর এক্সপানশন জয়েন্টের নাজুক অবস্থা, সংস্কারের অভাবে প্রতিদিন শতশত যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।  

সড়ক বিভাগ ১৯৭৩ সালে কালীগঙ্গা নদীর উপর ৬৬৪ মিটার ধীর্ঘ সেতু নির্মিত হয়।

ধীর্ঘ দিনের এই পুরাতন সেতু গত বছরের এপ্রিল মাসে চারটি এক্সপানশন জয়েন্টের মেরামতের কাজ হাতে নেওয়া হয়। তবে প্রয়োজনীয় মালামালের সংকটের কারণে দুটি বড় জয়েন্টের সংস্কার কাজ স্থগিত হয়ে পড়ে।

জানা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের তরা এলাকার কালীগঙ্গা নদীর উপর নির্মিত সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের প্রায় ২১ টি জেলার দূরপাল্লার পরিবহনসহ আঞ্চলিক যানবাহন চলাচল করছে। সেতুটির উপর স্টিলের এক্সাপানশনের অন্তত দুটি নাজুক অবস্থা আছে আর এতে করে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। ওই সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করলে বিকট শব্দের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া ছোট যানবাহন যেমন পি-আপ ভ্যান, মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার চলাচল অত্যান্ত ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে উঠেছে।

পাটুরিয়া-গাবতলী চলাচলকারী সেলফি পরিবহনের চালক ইয়াসিন বলেন, এই সড়ক দিয়ে আমরা প্রতিদিন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছি তবে এই তরা সেতুর বর্তমান যে অবস্থা তাতে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সকল কিছু বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব এই সেতুটির জয়েন্টের অংশটা মেরামত করতে হবে।

কুষ্টিয়া জেলা থেকে আসা লালন পরিবহনের চালক হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমি প্রায় পাঁচ বছর যাবৎ এই সড়ক হয়ে ঢাকা-কুষ্টিয়া রুটে গাড়ি চালাচ্ছি। গত বছরও এ রকম অবস্থা হয়েছিলো সে সময় ভালো ভাবে ঠিক না করা কারণে আবারও একই সমস্যা হয়েছে। এই সড়কটা দিয়ে প্রতিনিয়তই আন্তঃজেলার পরিবহন ছাড়াও আঞ্চলিক যানবাহন চলাচল করে। সেতুটির বর্তমান যে অবস্থা দ্রুত তম সময়ের মধ্যে মেরামত না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে।

যশোরগামী পণ্য বোঝাই ট্রাকের চালক আকবর আলী বলেন, অধিকাংশ সময়ই আমাদের গাড়ি গুলো লোড থাকে, এই সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করার সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। একটু ভুল হলে বড় কোনো অঘটন করতে পারে। সেতুটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে। এই সেতুতে সমস্যা হলে গোটা দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।  

লাভলু নামের এক মোটরসাইকেলের চালক বলেন, আমি প্রতিদিন দুই বার করে আপ-ডাউন করি এই সেতুর উপর দিয়ে, আমরা যারা মোটরসাইকেল ড্রাইভ করছি তাদের জন্য এটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সন্ধার পরে এই সেতুটির উপর দিয়ে চলাচল করলে ভয় হয়, যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
 
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল কাদের জিলানী বলেন,বছরের পর বছর ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সেতুর এক্সপানশন জয়েন্টের স্টিলের পাতগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গেল বছরের এপ্রিল মাসে দুটি এক্সপানশন জয়েন্ট বাদে বাকি গুলোর মেরামত সম্পন্ন করা হয়েছিল। অবশিষ্ট দুটি জয়েন্টের সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৯ ঘণ্টা, ৬ জানুয়ারি ২০২৫
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।