ঢাকা: জাতীয় সংসদের নারী আসন ১০০ তে উন্নীত করে মোট আসন ৪০০ করার সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এক্ষেত্রে নারী আসনে ঘূর্ণায়নমান পদ্ধতিতে সরাসরি নির্বাচন হবে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ কমিশন পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের নয় পৃষ্ঠার সুপারিশ জমা দেয়।
সংসদের উচ্চকক্ষের নির্বাচন নিয়ে যা বলা হয়েছে সুপারিশে:
(ক) সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ১০০ আসন নিয়ে সংসদের উচ্চকক্ষ সৃষ্টি করা। সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের হারের ভিত্তিতে (সংখ্যানুপাতিকভাবে) আসন বণ্টন করা।
(খ) উচ্চ কক্ষের নির্বাচন: প্রত্যেক দলের প্রাপ্ত আসনের ৫০% দলের সদস্যদের মধ্য থেকে এবং অবশিষ্ট ৫০% আসন নির্দলীয় ভিত্তিতে নাগরিক সমাজ, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, মানবসেবা প্রদানকারী, শ্রমজীবীদের প্রতিনিধি, নারী উন্নয়নকর্মী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ইত্যাদির মধ্য থেকে সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচিত করার বিধান করা। তবে শর্ত থাকে যে, দলীয় ও নির্দলীয় সদস্যদের মধ্যে কমপক্ষে ৩০% নারীর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা।
(গ) সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্যদের বয়স কমপক্ষে ৩৫ বছর এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে স্নাতক নির্ধারণ করা।
(ঘ) অন্যান্য যোগ্যতা-অযোগ্যতা নিম্নকক্ষের যোগ্যতার অনুরূপ করা।
(ঙ) বিরোধী দলকে ডিপুটি স্পিকারের পদ দেওয়া।
সংসদ নির্বাচনে নারীর প্রতিনিধিত্ব
(ক) সংসদের (নিম্ন কক্ষ) আসন সংখ্যা ১০০ বাড়িয়ে মোট সংখ্যা ৪০০ করা। এ ৪০০ আসনের মধ্যে নারীদের জন্য নির্ধারিত ১০০ আসন ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিধান করা, যাতে যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট আসন থেকে নারীদের সরাসরি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
এ সুপারিশগুলো দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৫
ইইউডি/জেএইচ