ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নারী ও যুবলীগ নেতার সঙ্গে দুই পুলিশ কর্মকর্তার অশ্লীল নাচ, ভিডিও ভাইরাল 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫
নারী ও যুবলীগ নেতার সঙ্গে দুই পুলিশ কর্মকর্তার অশ্লীল নাচ, ভিডিও ভাইরাল 

মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানা পুলিশের দুই উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) একাধিক নারীর সঙ্গে নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নারীদের সঙ্গে দুই পুলিশের অশ্লীল নৃত্যের সময় রাজৈর উপজেলা যুবলীগের এক নেতাকেও দেখা গেছে।

 

ওই দুই পুলিশ সদস্য হলেন - রাজৈর থানার উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক মো. হাদিবুর রহমান ও  উপ-সহকারী স্বপন অধিকারী। তাদেরকে ইতোমধ্যে ক্লোজড করা হয়েছে।  

শৃঙ্খলা বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে বলে জানিয়েছেন মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান।  

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এসব তথ্য জানা গেছে।

এএসআই মো. হাদিবুর রহমান ও এএসআই স্বপন অধিকারীর একাধিক ভিডিও ক্লিপ এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।  

ভিডিওতে দেখা যায়, তারা একটি টিনশেড ঘরে মদ্যপ অবস্থায় একাধিক নারীকে নিয়ে নাচানাচি করছেন। একই কক্ষে এক নারীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাচ্ছেন। এসময় সিগারেটের ধোয়া ছেড়ে গানের তালে তালে উল্লাস করছেন তারা। আবার কখনো যুবলীগের কয়েকজন নেতাও নাচে তাল দিচ্ছেন। সেই কক্ষের খাটে বসে তাদের সঙ্গে নারীদের নৃত্য উপভোগ করছেন রাজৈর উপজেলা যুবলীগের নেতা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নের নটাখোলা জগদীসের বাড়ি ও আনন্দপুরের ভবত শের বাড়ির সঙ্গে গ্যারেজে মাঝেমধ্যেই আসর বসাতো বখাটেরা। যেখানে মদ, গাঁজা সেবনসহ অবৈধ কর্মকাণ্ড চলে আসছে।

অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন সময়ে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে বেশ কয়েকজন পলাতক যুবলীগ নেতাও সেখানে অশ্লীল কর্মকাণ্ড করে থাকেন। এমন কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ বিভাগ।  

এ ব্যাপারে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ মাসুদ খান বলেন, ‘পুলিশ বাহিনী শৃঙ্খলা মেনে কাজ করেন। কোনো অবস্থায়ই আইনের বাইরে কিছু করতে পারেন না। যদি অন্যায় বা শৃঙ্খলা ভঙ্গের কাজ করেন, তার সেই কাজের দায়ভার পুলিশ বিভাগ নেবে না। অভিযুক্তদের বিষয় জানতে পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়। তিনি তাদের ক্লোজড করেছেন। '

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত দুই উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক।

স্বপন অধিকারী বলেন, ‘মাঝেমধ্যে একটু আমোদ-ফুর্তি করি, প্রয়োজনও আছে। অনেক সময় আসামি ধরতে নানা কৌশল নিতে হয়। এতে যদি অন্যায় হয়, তাহলে আমি দোষী। আর অন্যায় না হলে কিছু করার নেই। ’

অন্যজন মো. হাদিবুর রহমান বলেন, ‘আমার জন্মদিন উপলক্ষ্যে কিছুদিন আগে বন্ধু-বান্ধব মিলে একটু আনন্দ-ফুর্তি করেছি। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রও হতে পারে। তবে আমি ভুল স্বীকার করছি, এরকম কাজ আর কখনো করবো না। ’

পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, ‘ ইতোমধ্যে যে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে, সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। কোনোভাবেই এটা পুলিশের সদস্য করতে পারে না। তাৎক্ষণিক অভিযুক্তদের পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে। অচিরেই শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় বিভাগীয় মামলা করা হবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।