ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে মুক্তিপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বাসনের দাবি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৫
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে মুক্তিপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বাসনের দাবি

ঢাকা: পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডে জামিন পাওয়া ২৫০ সদস্যের পুনর্বাসনসহ ৬ দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। ৩০ জানুয়ারির মধ্যে দাবি না মানলে রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিডিআর পরিবারের পক্ষে দাবিগুলো তুলে ধরেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহিন সরকার।

দাবির মধ্যে রয়েছে ১. ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দেওয়া মামলার রায় বাতিল করে আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে ঢালাওভাবে আটক করা বিডিআর সদস্যদের সিআরপিসি ৪০১ ধারায় মুক্তি দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ হতে পারে। নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত শেষে যারা অপরাধী চিহ্নিত হবে, তাদের পুনর্বিচার করতে হবে; ২. গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ‘ব্যতীত’ শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) নং ধারা বাদ দিতে হবে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এবং ষড়যন্ত্রের শিকার (জেলবন্দী কিন্তু বাইরে আছেন) দেশপ্রেমিক বিডিআর সদস্যদের কমিশনে যুক্ত করতে হবে;

৩. পিলখানার ভেতরে এবং বাইরে শহীদ হওয়া ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে জেলের ভেতর মারা যাওয়া প্রত্যেক বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করতে হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে; ৪. স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে নির্দোষ প্রমাণিত সকল বিডিআর সদস্যকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে এবং ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে;

৫. বিজিবি আইন ২০১০ বাতিল করে পূর্বের বিডিআর আইন পুনর্বহাল করতে হবে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে নেতিবাচক ভূমিকা পালন করা বিজিবির নামকে পরিবর্তন করে বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনতে হবে; ৬. পিলখানার ভেতরে এবং বাইরে সকল শহীদের স্মরণে জাতীয় দিবস চালু করতে হবে।

মাহিন সরকার বলেন, যাদেরকে আজ মুক্তি দেওয়া হয়েছে, কেন তাদেরকে ৫ আগস্টের পরের রায়ে ছেড়ে দেওয়া হলো না? যারা আজ মুক্তি পেয়েছেন, তারা ছাড়াও অনেকে মুক্তি পাওয়ার কথা। এখন থেকে নতুন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। নতুন করে তদন্ত করে মূল অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে কাজ করা আইনজীবী পারভেজ হোসেন বলেন, আজকে যারা মুক্তি পেয়েছেন তাদের মুক্তির মাধ্যমে বিডিআর বিদ্রোহের বিচারের বন্ধ দরজা আমরা খুলতে পেরেছি। নতুন তদন্ত কমিশন হয়েছে, যার অর্থ হলো আগের তদন্ত ভুল ছিল। আগের সরকার সবকিছু তার অধীনস্থ বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে করেছে। নতুন যে কমিশন হয়েছে, তাদের কাছে আটককৃতদের মুক্তি দিয়ে নতুন করে তদন্ত করার দাবি করছি। এর মাধ্যমে যারা শাস্তিপ্রাপ্ত হবে, তাদেরকে নতুন করে শাস্তি দিতে।


বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৫
এফএইচ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।