মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর সীমান্ত এলাকায় মনু নদে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করার গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদ বিন অলিদ বলেন, গত দুই তিন দিন ধরে কৈলাশহর ও ত্রিপুরা যা প্রচার হয়েছে তা ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, শনিবার সীমান্তরক্ষী বিএসএফের পানি সাগর সেক্টর কমান্ডার ডিআইজি রাজিব বাটসরাজ সরেজমিন তদন্ত করে সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে ব্যাখ্যা করে জানান, বাংলাদেশ অংশে মনু উঁচু প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ নয়, বাংলাদেশ অংশে দুটি এলাকার কাঁচা সংযোগ রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
তিনি বলেন, রোববার দুপুরে সরেজমিন শরীফপুর ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা মনু নদের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু প্রতিরক্ষা বাঁধ সংস্কারে পাথরের ব্লক স্থাপন হচ্ছে। নতুনভাবে উঁচু বাঁধ নয়। আগের মাপেই সংস্কার কাজ হচ্ছে। অন্যদিকে মনু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে নতুন একটি রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে কুলাউড়া উপজেলা সদরের সাথে। এ রাস্তাটি কিছু অংশ মনু প্রতিরক্ষা বাঁধ ঘেঁষা হয়েছে। গত কয়েক বছর আগে এ কাজ শুরু হলেও ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার রাঙাউটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকার ৭৫ মিটারের মধ্যে হওয়ায় বিএসএফের বাঁধার মুখে গত ২৪ নভেম্বর থেকে এ কাজটি সাময়িক বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত বন্যায় কমলগঞ্জের ইসলামপুর ইউনিয়নের মকাবিল এলাকায় ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের ব্যাপক এলাকা ভেঙে ব্যাপক এলাকার বাড়ি-ঘর ও গ্রাম্য রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নিলে ত্রিপুরার কমলপুরের ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের বাঁধায় এখন কাজ করা যায়নি।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এ কাজে দ্রুত বিএসএফে বাঁধা প্রত্যাহার না হলে আগামী বর্ষায় ধলাইয়ের পানি বাড়লে দ্রুত গ্রামে প্রবেশ করবে।
উল্লেখ্য, মনু নদের বাংলাদেশ অংশে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার উঁচু বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে বলে গত তিন দিন ধরে ত্রিপুরার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং সংবাদপত্রে গুজব ব্যাপক প্রচার হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৫
বিবিবি/এএটি