ঢাকা: কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ দূত রাষ্ট্রদূত লি জিওংকিউ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রসচিব রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষ দূত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং সংস্কার উদ্যোগের প্রতি তার দেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের চলমান সংস্কার উদ্যোগ সম্পর্কে বিশেষ দূতকে অবহিত করেন। ক্ষমতার সুষ্ঠু হস্তান্তর নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সক্রিয় ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি কৃষি, উচ্চ প্রযুক্তির পোশাক, স্মার্ট সিটি উন্নয়ন এবং ইলেকট্রনিক্সে কোরিয়ান বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশের আগ্রহের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য এবং চেম্বার-টু-চেম্বার সম্পর্ক বৃদ্ধির গুরুত্বের ওপর জোর দেন। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ জোরদার করার জন্য অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির দ্রুত অগ্রগতির আহ্বান জানান।
বিশেষ দূত বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদান এবং কঠোর পরিশ্রমের জন্য প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্রসচিব দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মসংস্থান অনুমতি ব্যবস্থার (ইপিএস) প্রশংসা করেন। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নত দেশে রূপান্তরকে স্বীকৃতি দেন এবং এটিকে বাংলাদেশের নিজস্ব উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষার অনুপ্রেরণা হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার বৈশ্বিক সফট পাওয়ারেরও প্রশংসা করেন, যার মধ্যে কে-পপ এবং কে-ড্রামার সাংস্কৃতিক প্রভাবও রয়েছে, যা বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী মানুষের হৃদয় জয় করে চলেছে।
পররাষ্ট্রসচিব রোহিঙ্গা ইস্যুতে দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান। বিশেষ দূত এই ইস্যুতে দক্ষিণ কোরিয়ার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য উচ্চ-স্তরের সম্পৃক্ততা এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বৈঠকটি শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
টিআর/এমজেএফ