যশোর: নারীদেরকে ব্যবহার করে ডেকে এনে মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের (হানিট্র্যাপ) ছয় সদস্যকে আটক করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। এসময় ওই চক্রের শিকার এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে যশোর শহরের খালধার রোড এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে ওই ছয়জনকে আটক ও একজনকে উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলেন - যশোর উপশহর বি-ব্লকের আব্দুল মজিদের ছেলে ফাহিম হোসেন, শংকরপুর বাস টার্মিনাল এলাকার শুকুর আলীর ছেলে ছাব্বির হোসেন, বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মেহেদী হাসান রাব্বী, মধুগ্রামের হারুন উর রশিদের ছেলে মারুফ হোসেন, বেজপাড়ার মৃত মতিয়ারের ছেলে শাহরিয়ার হোসেন ওরফে রোহান এবং বেজপাড়া দীঘিরপাড় এলাকার মৃত অশোক কুমার দাসের মেয়ে লক্ষী রানী সরদার ওরফে রাবেয়া খাতুন।
উদ্ধার আশিকুর রহমান ঝিকরগাছা উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের অধিবাসী।
ডিবি যশোরের ওসি মঞ্জুরুল হক ভুঞা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মঞ্জুরুল হক ভুঞা জানান, হানিট্র্যাপ চক্রের সদস্যরা আশিকুর রহমানকে ফাঁদে ফেলেন। দুর্বৃত্তরা তার মুক্তিপণ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে আশিকুরের মা সালমা বেগম ঝিকরগাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে যশোরের পুলিশ সুপারের নির্দেশে তদন্তে নামে ডিবি পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডিবি আশিকুর রহমানের অবস্থান শনাক্ত করে যশোর শহরের ধালধার রোডের আমিনিয়া মাদরাসা এলাকায়।
শনিবার রাত ১২টার দিকে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় হানিট্রাপ চক্রের সদস্য ফাহিমকে। এখান থেকেই উদ্ধার হন আশিকুর রহমান। ফাহিমের স্বীকারোক্তিতে পরে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্যান্য আসামিদের আটক করা হয়।
ডিবি জানিয়েছে, চক্রের সদস্য লক্ষী রানীর সঙ্গে আশিকুরের আগে থেকেই পরিচয় ছিল। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে লক্ষী রানীকে দিয়ে আশিকুরকে ডেকে আনা হয়। তাকে খালধার রোডের ওই ফ্ল্যাটে আটকে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন চক্রের সদস্যরা। এক পর্যায়ে তারা বিকাশের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকাও আদায় করেন।
ডিবি জানায়, যশোরে এভাবে হানিট্রাপের মাধ্যমে বিত্তবানদেরকে ফাঁসানোর কাজে সক্রিয় রয়েছে চক্র। এর আগে এই চক্রের আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবারের আটক ও উদ্ধারের ঘটনায় আশিকুর রহমানের মায়ের দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড হবে বলে জানান ডিবি ওসি শিমুল মঞ্জুরুল হক ভুঞা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৫
এসএএইচ