ঢাকা, বুধবার, ১৪ মাঘ ১৪৩১, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ব্যাংক থেকে ভিক্ষুকের ৯৩ হাজার টাকা নিয়ে উধাও 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৫
ব্যাংক থেকে ভিক্ষুকের ৯৩ হাজার টাকা নিয়ে উধাও  ভুক্তভোগী বৃদ্ধা নুরজাহান খাতুন ও তার মেয়ে শাবানা খাতুন

কুষ্টিয়া: ভিক্ষা করে জমানো টাকা রাখতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন নুরজাহান খাতুন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেয়ে শাবানা খাতুন।

দুজনের ভিক্ষাবৃত্তির জমানো টাকা ছিল ৯৩ হাজার। সেই টাকা ব্যাংকে রাখার জন্য হিসাব খোলার সময় তাদের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন এক প্রতারক।  

রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়ার বড়বাজার শাখায় এ ঘটনা ঘটে।

বৃদ্ধা নুরজাহান খাতুন ও তার মেয়ে শাবানা খাতুন শহরের মিলপাড়া চাউলের বর্ডার এলাকার বাসিন্দা। তারা দুজনেই ভিক্ষা করেন।

ব্যাংকে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়,  টাকা জমা দিতে নুরজাহান খাতুন ও তার মেয়ে শাবানা খাতুন ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করলেই নতুন ব্যাংক হিসাব নম্বর খুলতে ব্যাংক কর্মকর্তারা কয়েকটি টিপসই নেন। এক পযার্য়ে সেখান থেকে একজন টাকা জমা দেবেন বলে নুরজাহান নামে ওই বৃদ্ধার কাছ থেকে ৯৩ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। কালো রঙের সোয়েটার, নীল প্যান্ট ও কালো জুতা পরা ছিলেন ওই প্রতারক।

নুরজাহান খাতুন জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে শহরের মিলপাড়া চাউলের বর্ডার এলাকায় মা-মেয়ে একসঙ্গে থাকি। ভিক্ষা করে এই টাকাগুলো জমিয়েছিলাম। টাকা ব্যাংকে রাখার জন্য মা-মেয়ে সকালে ব্যাংকে আসি। এরপর ব্যাংকের লোকজন কয়েকটি টিপসই নেন। একজন এসে বলে টাকা জমা দিতে হবে। তাই তার কাছে টাকাগুলো দিই। পরে তিনি আর আসেননি।

ব্যাকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আলমগীর হোসেন বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানাই। পুলিশ এসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে গেছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, ভুক্তভোগী নুরজাহান খাতুন থানায় জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্তসহ চোরকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৫
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।