পাথরঘাটা (বরগুনা): বরগুনার পাথরঘাটার কাকচিড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন ফুয়াদ জমাদ্দারকে (৪৫) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। স্থানীয় গোলাম মাওলা জমাদ্দারসহ অন্তত ৭ জন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ওই বিএনপি নেতার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গোলাম মাওলা জমাদ্দার (২৫) কাকচিড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ জোমাদ্দার ছেলে ও কাকচিড়া ইউনিয়ন আওয়ামী সমর্থক বলে জানা গেছে এবং ফুয়াদ জোমাদ্দার একই এলাকার আ. হালিম জোমাদ্দারের ছেলে।
ফুয়াদ জমাদ্দারের বোন মর্জিনা বেগম বলেন, পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা গোলাম মাওলার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ধারালো রামদা দিয়ে ফুয়াদ জমাদ্দারকে একের পর এক কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। এ সময় গোলাম মাওলাকে বারবার অনুরোধ করলেও আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তখন মাওলার নেতৃত্বে ৭ থেকে ৮ জন ছিল।
কাকচিড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক এস.এম নাসির উদ্দিন বলেন, আগে থেকেই ফুয়াদ জমাদ্দার ও গোলাম মাওলা জমাদ্দারের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। তাছাড়া গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কাকচিড়ায় শেখ হাসিনার পোস্টার লাগানো ঘটনায় গোলাম মাওলার নেতৃত্বে একদল আওয়ামী সমর্থকরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। এ ঘটনার জের ধরে বিকেলে ওরা সংগঠিত হয়ে বিএনপি নেতা ফুয়াদ জমাদ্দারকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। এই ঘটনায় জড়িত আওয়ামী সমর্থকদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
পাথরঘাটা পৌর বিএনপির সদস্য সচিব ইসমাইল হোসেন শিকদার এসমে বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফিউল হাসান বলেন, ফুয়াদ জমাদ্দারের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপের গভীর জখম রয়েছে। তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ফুয়াদ ও গোলাম মাওলাদের মধ্যে বিদেশে লোক পাঠানোর টাকা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৫
এসএএইচ