ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানে আহতদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আমলারা অসহযোগিতা করছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশকালে তিনি এ কথা বলেন।
আহতদের উদ্দেশ্য ক্ষোভ প্রকাশ করে হাসানাত বলেন,হাসিনাকে ফেলে দিয়েছি বলে কি আমাদের ভুল হয়ে গেছে! সে কারণেই তো এখানে আসছি আজ। হাসিনাকে ফেলে না দিলে আসতে হতো না। তবে আমরা আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাই।
এ সময় আহতরা বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবির প্রেক্ষিতে হাসানাত বলেন, গণঅভ্যুত্থানে নিহতের ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ বিচার চাই। হাসিনার বিচার অবশ্যই করতে হবে। এটা আমাদেরও চাওয়া।
তিনি বলেন, আহতদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে আমলারা অসহযোগিতা করছে। আমলারা যদি মনে করেন, হাসিনা আবার ফিরে আসবেন, ভুল ভাবছেন।
হাসনাত বলেন, আহতের পুনর্বাসন করার বিষয়টি একটি লম্বা প্রক্রিয়া। নানা জায়গায় তাদের কাগজ চেক করতে করতে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। এখানে গ্রুপ, উপগ্রুপ তৈরি হয়েছে। এখানে একটা দালাল শ্রেণি তৈরি হয়েছে। একপক্ষ আরেকপক্ষকে দোষারোপ করছে। কেউ বলছে আমরা অরিজিনাল, আবার কেউ বলছে ওরা ভুয়া। এ ধরনের ঘটনার কারণে সরকার বিব্রত। অবিলম্বে যারা আহত তাদের সুচিকিৎসার জন্য যা যা করা দরকার সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে করবে। আপনাদের এ দাবি আমি সরকারের কাছে জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের হাতে কিছু নেই। আমরা কিছু করতে পারি না। আপনারা যে চিকিৎসা পান না এটা সত্য। এর জন্য দায়ী সরকারের লোকজন। সরকার ভালো মতো তদারকি করতে পারে নাই।
রাত ১ টা ১০ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখা অবস্থায় আহতদের সঙ্গে কথা বলছিলেন হাসানাত। তিনি তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য আশ্বস্ত করছিলেন।
এর আগে সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার সামনে অবস্থান নেন তারা।
এর কয়েক মিনিট পরেই বিক্ষুব্ধ আহতদের শান্ত করতে সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল সংলগ্ন ভিআইপি সড়কে পৌঁছালে ব্যারিকেড দিয়ে আন্দোলনকারীদের বাধা দেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
বাধা পেয়ে সেখানেই সড়ক আটকে বিক্ষোভ করেন অভ্যুত্থানে আহতরা।
এর আগে, একই দাবিতে (সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি) গতকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পঙ্গু হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন আহতরা।
আরও পড়ুন>>ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন অভ্যুত্থানে আহতরা
বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২৫
টিআর/এমএমআই/এসএএইচ