ঢাকা, সোমবার, ২৭ মাঘ ১৪৩১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

যবিপ্রবির বরখাস্তকৃত চার শিক্ষক-কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্তে কমিটি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
যবিপ্রবির বরখাস্তকৃত চার শিক্ষক-কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্তে কমিটি

যশোর: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বরখাস্ত হওয়া আওয়ামীপন্থি দুজন শিক্ষক ও দুজন কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বরখাস্ত হওয়া এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তা হলেন- যবিপ্রবি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ, নীল দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, টেকনিক্যাল অফিসার হেলালুল ইসলাম ও সাইফুর রহমান।

 

ড. আমজাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ডের একশ’ চারতম সভায় এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।  

ছয় সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক যবিপ্রবি’র কোশাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসাইন আল মামুন এবং সদস্য সচিব উপ-রেজিস্ট্রার মো. ইমদাদুল হক।  

সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো সায়েন্স রিসার্চ সেন্টারের কাউন্সিলর মেম্বার ও যবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ড সদস্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও রিজেন্ট বোর্ড সদস্য ড. মো. আলতাফ হোসেন, যবিপ্রবি’র রিজেন্ট বোর্ড সদস্য ড. মো. ওমর ফারুক এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ইঞ্জিনিয়ার ড. আমজাদ হোসেন।

যবিপ্রবি সূত্রে জানা গেছে, বরখাস্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতর নানা অভিযোগ রয়েছে। সেসব প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার কারণে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে সেসব দুর্নীতির সবিস্তার খুঁজে বের করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বরখাস্তদের মধ্যে অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।  

অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে অর্থ লোপাট, লিফট ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড সদস্য ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হওয়ায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত অমান্য করে নিজের স্ত্রী ডা. নুসরত জাহানকে ৩৫ বছর ১১ মাস বয়সে বিধিবর্হিভূতভাবে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

টেকনিক্যাল অফিসার হেলালুল ইসলামের সনদ জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি যবিপ্রবি কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক, যশোর জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

অপরদিকে, সাইফুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক আইন সম্পাদক ও রেজিস্ট্রার দপ্তরের সেকশন অফিসার ছিলেন। ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা মামলায় ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর আটক হন মেট্রোপলিটন পুলিশের হাতে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।