লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে আগুন লেগে প্রায় ২০টি দোকান ও মালামাল পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে উপজেলা রামগতি বাজারের মীর সড়কে থাকা মাসুদ নামে এক ব্যক্তির জ্বালানি তেল দোকান থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।
পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো হলো- মাসুদের তেলের দোকান, ইব্রাহিম খলিল ও নুর উদ্দিনের মুদি দোকান, উত্তম সাহা ও রাশেদুলের হার্ডওয়্যার দোকান, জাহেরের মোল্লা হোটেল, মাইন উদ্দিন, ছারোয়ার ও আবদুল বাচেতের ওষুদের দোকান, মা ভেটেনারি, আমিরের জুতার দোকান, হেলালের দোকান, নাহার মঞ্জিল ও মা স্টুডিও, ধনু, জামাল উদ্দিন ও দিদারের তরকারি দোকান, যতনের সেলুন ও মাও. জাহেরের কাজী অফিস।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তেলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ায় উপস্থিত লোকজন চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। অন্যদিকে ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার হওয়ায় ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা পৌঁছাতে দেরি হয়েছে। ফলে আগুনের ভয়াবহতা বেড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সাংবাদিক মিসু সাহা নিক্কন বাংলানিউজকে জানান, ভোর ৬টা ১০ মিনিটের দিকে একটি তেলের দোকানে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে দাউদাউ করে আগুনের লেলিহান শিখা আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে উপস্থিত লোকজন চেষ্টা চালিয়েও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। ঘটনার প্রায় ৪০ মিনিট পর ২০ কিলোমিটার দূর আলেকজান্ডার থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে আসেন। এরই মধ্যে অন্তত ১৫টি দোকান পুরোপুরি পুড়ে যায় এবং ৫টি দোকান আংশিক পুড়ে হয়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও জানান, রামগতি বাজার একটি বড় ও এতিহ্যবাহী বাজার। আশপাশেও বিবিরহাট বাজার, টাংকি বাজারসহ ছোট-বড় বেশকিছু বাজার রয়েছে। প্রায় সময়ে এসব বাজারে আগুনের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই সবকিছু পুড়ে যায়। তাই রামগতি বাজারের আশপাশে একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মুদি ব্যবসায়ী নুর উদ্দিন বলেন, আমার দোকানে প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। আগুনে সবকিছু পুড়ে গেছে। ব্যাংক ঋণ নিয়ে আমি ব্যবসা করি। আমার ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো পথ নেই।
তেলের দোকানদার মাসুদ আলম বলেন, ১৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল। আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। আগুন আমাকে ফকির করে দিয়েছে।
রামগতি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন বলেন, ১৮টি দোকান পরিপূর্ণ পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন জানান, ফায়ার সার্ভিস ও পিআইও অফিসের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫
আরবি