ঢাকা, বুধবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পিকনিকের খাবার খেয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ অসুস্থ অর্ধশত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫
পিকনিকের খাবার খেয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ অসুস্থ অর্ধশত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী: রাজশাহীতে পিকনিকের খাবার খেয়ে স্কুল শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকসহ প্রায় অর্ধশত জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪৫ জন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, ফুড পয়জনিংয়ের (খাদ্য বিষক্রিয়া) কারণে তারা অসুস্থ হয়েছেন।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা সদরের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থানাপাড়া সোয়ালোজ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ ১৮০ জন গোদাগাড়ী উপজেলার সাফিনা পার্কে পিকনিকে যান। এর মধ্যে ৪৭ জন ছিল ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বাকিরা অভিভাবক এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন। পিকনিকের জন্য বিদ্যালয়েই খাবার রান্না করা হয়। তারপর প্যাকেট করে খাবার নিয়ে যাওয়া হয়। সাফিনা পার্কে পৌঁছানোর পর দুপুর ২টার দিকে দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে পিকনিক থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকে অনেকের ডায়রিয়া ও বমি শুরু হয়।

সোমবার দুপুর থেকে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে সংশ্লিষ্টদের পর্যায়ক্রমে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এভাবে পর্যায়ক্রমে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৪৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে যাদের শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালো তারা বাড়িতেই ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিচ্ছেন।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রূপালী খাতুন জানান, পিকনিকের খাবার খাওয়ার পর রাত থেকেই তার দুই মেয়ের ডায়রিয়া শুরু হয়। সোমবার থেকে অবস্থা আরও খারাপ হয়। এখন দুই মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্যালাইন চলছে, তবে দুশ্চিন্তায় আছেন।

চারঘাট উপজেলার থানাপাড়া সোয়ালোজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমিতাভ নেওয়াজ বলেন, খাবার রান্না করে সুন্দরভাবে পরিবেশন করা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কী কারণে ফুড পয়জনিং হয়েছে বুঝতে পারছেন না। তার মেয়েও অসুস্থ হয়ে ভর্তি আছে বলে জানান।

চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌফিক রেজা বলেন, ‘ফুড পয়জনিংয়ের কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শিশু বিশেষজ্ঞসহ চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছেন। রোগীদের অবস্থা এখন কিছুটা ভালো। কোনো রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫

এসএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।