ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

আইনের প্রয়োগ করে দুষ্কৃতকারীদের শায়েস্তা করতে ডিসিদের বলেছি: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫
আইনের প্রয়োগ করে দুষ্কৃতকারীদের শায়েস্তা করতে ডিসিদের বলেছি: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

ঢাকা: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, আমাদের আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগ নেই। আইনের প্রয়োগ করে দুষ্কৃতকারীদের শায়েস্তা করার কথা ডিসিদের বলেছি।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের প্রথম দিন বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক কার্য অধিবেশন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এরআগে সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ডিসি সম্মেলন উদ্বোধন করেন।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আজকে জেলা প্রশাসকরা নানা রকম প্রশ্ন করেছেন। বিশেষ করে হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ সংক্রান্ত নানা সমস্যার কথা বলেছেন। সেসব সমস্যার মধ্যে কিছু কিছু সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। তবে আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা মনে হয়েছে সেটা হলো আমাদের প্রতিরোধমূলক কিছু করা উচিত। এ যে হাইপার টেনশন, ডায়াবেটিস হচ্ছে এগুলোর কারণগুলো কি? কীভাবে হয়, মানুষকে কীভাবে সচেতন করতে পারি।

তিনি বলেন, টোবাকো নিয়ে কি করতে পারি, ছোট ছোট বাচ্চারা ই- সিগারেটে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। সেগুলোকে আমরা কীভাবে প্রতিরোধ করতে পারি। আমাদের সেসব বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের আইন এবং আইনের প্রয়োগ। আমাদের আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগটা নেই। আইনের প্রয়োগটা দিয়ে আমরা যারা দুষ্কৃতকারী তাদের কিভাবে শায়েস্তা করা যায় সেটা বলার চেষ্টা করেছি।

গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমরা এ পর্যন্ত ৪০ জন আহতকে সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককে পাঠিয়েছি উন্নত চিকিৎসার জন্য। আমরা কখনো টাকার দিকে তাকাইনি। আমরা যখন দায়িত্ব নেই তখন আমরা জানতাম না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কোথায় পাওয়া যায়। কিন্তু তড়িৎ গতিতেই এই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে আহতদের বিদেশে পাঠানো হয়েছে। আমরা তাদের সর্বোত্তম চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করেছি। আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ডাক্তার এনে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

তিনি বলেন, আহতদের কিছুটা অসন্তুষ্টি আছে সেটা এক শতাংশও হবে না। তবে একটা ট্রমাতো যায়, যখন এক থেকে তিন সপ্তাহ বিছানায় পড়ে থাকে তখনতো একটা ট্রমাতো যায়। এরাতো গত ছয় মাস ধরে পা ভেঙে চক্ষু হারিয়ে বসে আছে। ফলে তাদের ট্রমাটা ওইভাবে চিহ্নিত করতে পারছি না। তবে এটা আস্তে আস্তে কমে যাবে তাদের রিহেবিলিটেশন করার পরিকল্পনাও রেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্যদের সমন্বয়ে করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা যদি আমরা করতে পারি তাহলে এগুলো আর থাকবে না।

বাংলাদেশ সময় : ২১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫
জিসিজি/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।