ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

শিগগিরই সারা দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল করা হবে: ভূমি উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫
শিগগিরই সারা দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল করা হবে: ভূমি উপদেষ্টা কথা বলছেন ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: শিগগিরই সারা দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল করা হবে বলে জানিয়েছেন ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।  

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি এমনটি জানান।

 

উপদেষ্টা বলেন, সনাতন পদ্ধতি থেকে যখন আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে যাচ্ছি, এই ট্রানজিশন ক্ষেত্রবিশেষে একটু পেইনফুল হয়। ক্রমান্বয়ে মানুষের অসুবিধাগুলো দূর হয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা চান, ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে আসুক। বর্তমানে আমরা ড্রোনের মাধ্যমে জরিপ কাজ পরিচালনা করছি।

তিনি বলেন, আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। আরও নতুন নতুন প্রযুক্তি আসবে। আমরা এসব খাতে প্রশিক্ষিত জনবল ও কোম্পানিগুলোর সহায়তা পেতে শুরু করেছি। আমরাও লোকজনকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছি। আশা করছি সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন সারা দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল আওতায় আসবে।  

ই-নামজারির পেন্ডিং আবেদন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আবেদন প্রক্রিয়া চলমান। প্রতিনিয়ত আবেদন পড়ছে। বিষয়টি হলো সিস্টেমটা ব্যবহার উপযোগী হবে কি না, আশা করছি সেটা ১০ মার্চের আগেই হয়ে যাবে।

এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।  

ভূমি ব্যবস্থাপনায় এখনও সাধারণ মানুষ প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে ই- নামজারির ক্ষেত্রে বেশি হচ্ছে। এ নিয়ে কী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি ডিসিরা কী সমস্যার কথা জানালেন, তা জানতে চান সাংবাদিকরা।

জ্যেষ্ঠ সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেন, এখন ই- নামজারি করা যাচ্ছে। জানুয়ারি পর্যন্ত একটু সমস্যা থাকলেও ফেব্রুয়ারিতে এসে সেটা নাই হয়ে গেছে। এখন সেটা করা যাচ্ছে। আমাদের কাছে প্রচুর লোক আবেদন করেছে।

তিনি বলেন, আমরা যখন শুরু করি তখন সমস্যা ছিল। আমরা যখন ডিজিটাল মাধ্যমে যাই, তখন সাড়ে চার লাখের মতো আবেদন পেন্ডিং ছিল। তা এখন কমে এসেছে। দিন দিন এটা আরও কমে যাবে। তখন মানুষের হয়রানিও কমে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য আগামী ১০ মার্চের মধ্যে এটা করে ফেলবো। আশা করছি তার আগেই মানুষ এটা ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবে। আর জমির পর্চার বিষয়ে কোনো সমস্যা নেই। ভোগান্তি ৮০ ভাগ কমে গেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫
জিসিজি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।