ঢাকা: অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে তার স্ত্রীর নামে থাকা সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জাহিদ আহসান রাসেলের নামে মোট ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৫ হাজার ৭৭০ টাকা মূল্যের সম্পদ পাওয়া যায়। উক্ত সম্পদ অর্জনে তার গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ২ কোটি ৮ লাখ ৪৩ হাজার ২০ টাকা। এক্ষেত্রে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায় ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৭৫০ টাকা, যার কোনো গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায়নি যা তিনি অপরাধমূলক অসদাচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন। এছাড়াও জাহিদ আহসান রাসেলের ৫টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ৮ কোটি ৮৭ লাখ ৫৫ হাজার ৯০৮ টাকা জমা ও ৮ কোটি ৬৩ লাখ ৯ হাজার ৯১৬ টাকাসহ মোট ১৭ কোটি ৫০ লাখ ৬৫ হাজার ৮২৪ টাকা উত্তোলন, হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক আয়ের উৎস আড়াল করেছেন মর্মে অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। ফলে জাহিদ আহসান রাসেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় কমিশন কর্তৃক একটি মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জাহিদ আহসান রাসেলের সম্পদ, আয়-ব্যয়, দায়-দেনা ও ব্যাংক হিসাবের তথ্য অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জাহিদ আহসান রাসেলের স্ত্রী মিসেস তাহেরা খাদিজার নামে ৪৮ লাখ ২৫ হাজার ৯৭৮ টাক মূল্যের সম্পদ পাওয়া যায়। এ সময়ে তার গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ৩১ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৬ টাকা এবং পারিবারিক অন্যান্য খাতে ব্যয় পাওয়া যায় ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ৪৭৮ টাকা। এক্ষেত্রে নিট আয়/সঞ্চয়ের চেয়ে ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৫২২ টাকা সম্পদ বেশি পাওয়া যায়। যার কোনো গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায়নি, ফলে তার প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারায় সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির সিদ্ধান্ত কমিশন কর্তৃক গৃহীত হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫
এসএমএকে/আরআইএস