ঢাকা, সোমবার, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৩ মার্চ ২০২৫, ০২ রমজান ১৪৪৬

অন্যান্য

জুলাই আন্দোলনে ঢাবিতে হামলা

ছাত্রলীগের শতাধিক হামলাকারী চিহ্নিত, বহিরাগতরা ছিল বেশি আগ্রাসী

ফাহিম হোসেন, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৫
ছাত্রলীগের শতাধিক হামলাকারী চিহ্নিত, বহিরাগতরা ছিল বেশি আগ্রাসী কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ | ছবি: সংগৃহীত

জুলাই আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মীর নাম উঠে এসেছে এ বিষয়ে করা সত্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনে। জানা গেছে, হামলাকারীদের একটি অংশ ছিল বহিরাগত এবং তারা ছিল বেশি আগ্রাসী।

এ সপ্তাহের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্যরা।

কমিটির সদস্যদের দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত ৭৩টি খুন ও শতাধিক সহিংসতার ঘটনায় কমিটি করা হলেও কোনো কমিটিই প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এবারই প্রথম সহিংসতার ঘটনায় গঠন করা কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে যাচ্ছে।

১৫ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত ঢাবিতে সহিংসতায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’ গঠন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ৫ মাস আগে গঠন করা এ কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ দুইবার পেছানো হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা বলছেন, তারা ইতোমধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরির কাজ প্রায় শেষ করেছেন। অনেকে অভিযোগ দিয়ে সাক্ষ্য দিতে না আসাসহ একাধিক কারণে প্রতিবেদন তৈরিতে ‘একটু’ সময় লেগেছে। কমিটির সকল সদস্যের ফিডব্যাক গ্রহণ করে আগামী সপ্তাহের মধ্যে তারা চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের হাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক মারধরের শিকার হন। ছাত্রলীগের হাতে মার খেয়ে কেবল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৯৭ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসা নেন। অনেক শিক্ষার্থী রাতে হলে ফিরে মারধরের শিকার হন। ১৬ ও ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়। ১৭ জুলাই বিকেল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। এরপর থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকবার হামলার ঘটনা ঘটে।

সহিংসতার ঘটনা অনুসন্ধানে করা ৪ সদস্যের সত্যানুসন্ধান কমিটির প্রথমে আহ্বায়ক ছিলেন আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মুহাম্মদ একরামুল হক। এছাড়া ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদিয়া নেওয়াজ রিমি, সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন মোনামীকে সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তদন্ত) শেখ আইয়ূব আলীকে কমিটিতে সচিব করা হয়। এই কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

পরে ৮ অক্টোবর সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুল হক সুপণকে প্রধান করে আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদিয়া নেওয়াজ রিমি, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়াকে সদস্য করা হয়। ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তদন্ত) শেখ আইয়ুব আলীকে কমিটির সচিব পদে বহাল রাখা হয়।

বেঁধে দেওয়া ৪৫ দিনের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হয়। পরে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে সত্যানুসন্ধান কমিটির আহবায়ক কাজী মাহফুজুল হক সুপণ ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানান। তবে এই সময়ের মধ্যেও প্রতিবেদন দিতে পারেনি কমিটি।

কী বলছে কমিটি
এ বিষয়ে আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ও কমিটির আহবায়ক কাজী মাহফুজুল হক সুপণ বলেন, আমরা ইতোমধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন করে ফেলেছি। সত্যানুসন্ধান কমিটির সদস্যদের প্রতিবেদনের একটি খসড়া দেওয়া হয়েছে। তাদের একটি প্রতিক্রিয়া আমরা পাব। তারপর আমরা এই সপ্তাহে না হলেও আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেব।

উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সত্যানুসন্ধান কমিটির সদস্য ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী বলেন, আমরা শতভাগ তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিবেদন দিচ্ছি, যাতে কোনো অপরাধী পার পেয়ে না যায়। অদূর ভবিষ্যতে আদালতে গিয়ে ‘একজনকে দেখিয়ে দশজন পার পেয়ে যাবে’, এমন ঘটনা যেন না ঘটে। আমরা একটা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রতিবেদনটি করেছি।

প্রতিবেদন দেরি হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকে অভিযোগ দিয়েছেন, কিন্তু সাক্ষ্য দিতে আসেননি, সে কারণে আমাদের একটু সময় লেগেছে। এখানে যা করা হয়েছে, ছবি-ভিডিও এবং তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আমরা একটি বেশ বড় রিপোর্ট তৈরি করেছি। যারা দোষী আছে, তারা পার পাবে না বলে আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি।

এদিকে সহিংতার ঘটনায় এবারই প্রথম কোনো কমিটি প্রতিবেদন দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন আহ্বায়ক মাহফুজুল হক। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত ৭৩ জন খুন হয়েছেন। প্রত্যেক ক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি হয়েছে। কিন্তু কোনো রিপোর্ট দাখিল করা হয়নি। সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে একশর ওপরে। কোনো ঘটনাতেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েনি। এই প্রথম এ ধরনের কোনো ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ছে।

তিনি বলেন, আমরা এই প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে পরিশ্রম করেছি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল একজন নিরীহ ছাত্রও যেন বিপদে না পড়ে। প্রতিবেদনে একশ’র অধিক হামলাকারীর নাম এসেছে। এরমধ্যে একটি অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের শিক্ষার্থী। সেদিন দুটি গ্রুপ ছিল মাথায় ক্যাপ পরা। তারা বেশি আগ্রাসী ছিল।

তিনি বলেন, আমরা একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যর ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন তৈরি করিনি। এখানে প্রত্যেকটা ঘটনার ছবি ও ভিডিও আছে। আমরা আশা করছি, এবার একটি ভালো প্রতিবেদন আসবে। প্রতিবেদন প্রায় ১৭০ পৃষ্ঠা হয়েছে। আমরা সিন্ডিকেটের কাছে একটি সফট কপিও দেব। যেন সিন্ডিকেটে গেলে সদস্যরা দেখতে পারেন আমরা কী দিয়েছি। থাকছে হামলার একটি ভিডিও, তারা চাইলে এটি চালু করে দেখতে পারেন।

যে প্রক্রিয়ায় অনুসন্ধান
কোন প্রক্রিয়ায় তারা এই প্রতিবেদন তৈরির কাজ করছেন জানতে চাইলে আহবায়ক মাহফুজুল হক সুপণ বলেন, যারা যারা প্রত্যক্ষদর্শী তারা যেন সেসব তথ্যপ্রমাণ আমাদের পাঠায় সেজন্য আমরা একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ও ইমেইল ঠিকানা দিয়েছি। এর মাধ্যমে প্রচুর অভিযোগ, ভিডিও ও ছবি আমাদের কাছে এসেছে। তারপর আমরা প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা শুনেছি। আমরা নিজেরাও বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। এরপর আমরা দেশি-বিদেশি ইলেক্ট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ার কন্টেন্ট ভেরিফাই করেছি। এই রিপোর্টে আমরা এমন কারও নাম আনিনি, যাদের বিরুদ্ধে কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। একদম শক্ত তথ্যপ্রমাণ যাদের বিরুদ্ধে আছে, তারাই প্রতিবেদনে আছেন।

প্রক্রিয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী বলেন, আমরা শুরুতে অভিযোগ চেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইন্সটিটিউশনাল মেইলসহ বিভিন্ন জায়গায় এটা প্রেরণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে, তাদের কাছে কী কী প্রমাণ আছে, সে নথিগুলি আমাদেরকে প্রদান করতে। লিখিতভাবে, ই-মেইলে, সরাসরি বা ভিডিওকলে অর্থাৎ যতভাবে আমাদের কাছে পৌঁছানো যায়, সে ব্যবস্থা আমরা রেখেছি। অনেকেই নিরাপত্তার কারণে হয়তো আসতে পারবে না, তাদের জন্য আমরা ব্যবস্থা রেখেছি।

তিনি বলেন, বিশেষ করে অন্যায় করতে গিয়েছে এমন সময়ের ছবি ও মোবাইল ভিডিও সবগুলো আমরা পেয়েছি। যারা সরাসরি আঘাত করেছে, মোটরসাইকেলে করে এসে আক্রমণ করতে গিয়েছে বা আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়েছে বা অস্ত্র হাতে গুলি করেছে। আমরা গুলির খোসাসহ ছবি প্রতিবেদনে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, তারপর আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কয়েকটি এলাকায় ভাগ করে সাক্ষ্য গ্রহণ করেছি। তবে অনেকেই সাক্ষ্য দিতে আসেনি। অনেকে নিরাপত্তার শংকার কথা জানিয়েছে। আমরা তাদের মোবাইল রেকর্ড নিয়েছি। অর্থাৎ বাংলাদেশের আইনের সমস্ত ধারা বজায় রেখে আমরা কাজটি করেছি। তাই আমাদের দেরি হয়েছে।

এই কমিটি কোনো শাস্তি সুপারিশ করবে কী না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা শাস্তির জন্য সুপারিশ করতে পারি। আমাদের সুপারিশের ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট শাস্তির সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। শুধু তাই নয়, তারা যদি অধিকতর তদন্ত চান, তাহলে আরেকটি তদন্ত কমিটি করতে পারেন। আবার যদি মনে করেন এই রিপোর্টে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে, তাহলে তারা হয়তো অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে পারেন।

শাস্তি প্রস্তাবের বিষয়ে কাজী মাহফুজুল হক সুপণ বলেন, আমাদের কাজ হলো সত্যানুন্ধান করা। শাস্তি আমরা দেব না। এটা বিশ্ববিদ্যালয় দেবে। কারণ এখানে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগের বিষয় আছে।

এদিকে তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে শাস্তিসহ অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, শাস্তির বিষয়ে প্রতিবেদনেই উল্লেখ থাকবে। তদন্ত কমিটি খুবই সিস্টেমেটিক্যালি কাজটা করেছে। ঐ তদন্ত প্রতিবেদন থেকে যা আসবে, তা আরও গভীর তদন্তের বিষয় থাকতে পারে। কিছু জায়গায় ফরেনসিক প্রতিবেদনের বিষয় থাকতে পারে, পুলিশের সহযোগিতার বিষয় থাকতে পারে।

তিনি বলেন, এই জাতীয় বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দু-তিনটি বিধি আছে, এই বিধিগুলোর ভিত্তিতে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থাকবে, সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা সুপারিশের জন্য অপেক্ষা করছি। সুপারিশ ও বিধির ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন সিন্ডিকেটে যাবে। আলোচনা হবে। প্রতিবেদনটা পেলে বুঝতে পারব এর গভীরতা কতটুকু। যদি মনে হয় প্রত্যেকটা কেস আলাদা আলাদা করতে হবে, তাহলে সেক্ষেত্রে সময় বেশি লাগবে। তবে সিন্ডিকেটে আমরা সঙ্গে সঙ্গে শুরু করে দেব।

ছয় শতাধিক ছাত্রলীগ নেতার নামে মামলা
বিশ্ববিদ্যালয়ের সত্যানুসন্ধান কমিটিতে একশ’র অধিক হামলাকারীর নাম এলেও ইতোমধ্যে শাহবাগ থানায় দুটি পৃথক মামলায় ৬০০-এর অধিক ছাত্রলীগ নেতাকে আসামি করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার ও আরমান হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী এই মামলাগুলো করেন।

শুরুতে হলভেদে শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের হামলাকারীদের তালিকা তৈরি করেন। পরে গতবছরের ২১ অক্টোবর মাহিন সরকার মামলার বাদী হয়ে ৩৯১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। আরও ৮০০ থেকে এক হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। পরে ২৭ অক্টোবর শাহবাগ থানায় বাদী হয়ে আরমান হোসেন মামলা করেন। মামলার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, রিফাত রশীদ, হামজা মাহবুব, মোহাম্মদ মহিউদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মামলায় ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২২০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয়ে আসামি করা হয়।

এদিকে গতবছরের ১৭ জুলাই হল থেকে বের করে দেওয়ার পর ছাত্রলীগকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়। ছাত্রলীগের যাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়, তাদের অনেকের অনার্স শেষ হলেও মাস্টার্স শেষ হয়নি। অনেকের অনার্সই শেষ হয়নি। এমন কয়েকজন ক্লাস-পরীক্ষা দিতে এলে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়েন। পাশাপাশি ছাত্রলীগের সঙ্গে ছিলেন কিন্তু হামলার সঙ্গে জড়িত নন, এমন শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে তোপের মুখে পড়ছেন। তবে যেসব শিক্ষার্থী হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করেন, তাদের ক্লাস বা হলে থাকতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৫
এফএইচ/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।