ঢাকা: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে অর্জিত অর্থ ও পেনশনের টাকা দিয়ে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং দ্বিতীয় পর্বে ১৬ শতাংশ জমি কেনেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। কষ্টার্জিত টাকায় কেনা এই জমির ওপর স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী ও দখলবাজের কুদৃষ্টি পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এমতাবস্থায় জমি হারানোর ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত জাহাঙ্গীর হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের কাছে প্রতিকার চেয়েছেন। রোববার (২ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এই প্রতিকার চান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর হোসেন দাবি করেন, ২০১৮ সালে নুরজাহান বেগম নামের এক নারীর কাছ থেকে ৬৪ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ওই জমি কিনি। এক বছর পর সেই জমির নামজারি করে খাজনা পরিশোধ করি। কিন্তু ২০২৩ সালে সেই জমির ওপর নজর পড়ে আওয়ামী লীগের দোসর মিরপুরের ভূমিদস্যু, দখলবাজ ও বিভিন্ন মামলার আসামি বায়েজিদ, আশরাফ উদ্দিন, তাজউদ্দিন, মারুফসহ কয়েকজনের। তারা আমার জমিটি নিজেদের বলে দাবি করে এবং অন্যায়ভাবে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। জমি ছেড়ে দিতে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকিও দেয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এই ঘটনায় ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি পল্লবী থানায় জিডি করা হলে থানা থেকে বায়েজিদ ও আশরাফদের কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়৷ কিন্ত তারা থানায় আর আসেননি। এরপর তারা হুমকি-ধমকি দিলে আমি ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করি। ওই মামলায় এসি-ল্যান্ডের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত জমিতে বায়েজিদদের প্রবেশ রোহিত করে। কিন্তু তারা আদালতের রায় না মেনে জমিতে প্রবেশ করে দখলের চেষ্টা করেন। তাই আমি আবার আদালতে ভূমি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে মামলা করি, যা এখনো চলমান।
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বায়েজিদ ও আশরাফরা আমাকে হয়রানি করতে এবং আমার কষ্টের টাকায় কেনা জমি দখলে নিতে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে আমার নামজারির বিরুদ্ধে এসি-ল্যান্ডের কাছে রিভিউ মামলা করেন। সে মামলাও চলমান রয়েছে৷ কিন্তু তারা বিভিন্নভাবে আমাকে হত্যা ও মামলার ভয় দেখাচ্ছেন। এমতাবস্থায় আমি আমার প্রাণনাশের আশঙ্কা করছি এবং এই বিষয়ে সরকারের কাছে প্রতিকার চাইছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেনের বন্ধু সালাউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, মনির হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৫
এসসি/এইচএ/